সারা বাংলা

সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খৎনায় শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক

হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খৎনা করার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে আহত শিশু তামিমের চাচা হারুন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমন ঘটেছে। এর ১৫ দিন আগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন আহত শিশুর চাচা হারুন মিয়া।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে তামিম আহমেদকে খৎনা করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আউশকান্দি বাজারে। ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তামিমকে ওই বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী জয় তালা খুলে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে খৎনা করানোর উদ্দেশ্যে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। হঠাৎ করে তামিম চিৎকার শুরু করলে তার বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে দেখতে পান মালিক ও চিকিৎসক তামিমকে চড়থাপ্পড় মারছেন। এসময় তামিমের বাবা-মা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ঘেরাও করে রাখেন। এসময় স্থানীয়রা শিশু তামিমকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শিশু তামিমের চাচা ও মামলার বাদী হারুন মিয়া বলেন, খৎনা করার নামে ভুল অপারেশন করে আমার ভাতিজার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। এতে অনেক রক্তক্ষরণ হয়। সে ব্যথায় চিৎকার করে কান্নাকাটি করলে চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক তাকে মারপিট করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছি।

নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কেনো খোলা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।