জয়পুরহাটের কালাইয়ে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা আলু বোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়েছে একটি মাইক্রোবাস। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন মাইক্রোবাসের চালকসহ আরও ছয় যাত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের কালাই পৌরসভার নরওয়েস্ট হিমাগারের মূল ফটকের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার শিবগঞ্জের রাঙ্গামাটি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী ফাহিমা খাতুন (৩৮) এবং একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে রোকন (১৪)। আহতরা হলেন- মাইক্রোবাসের চালক আব্দুর রশিদ, পাপিয়া, ফারিয়া, রোহান ও নিশাদ। সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত ফাহিমার স্বামী কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে বলেন, মাইক্রোবাসের চালক রশিদের এক আত্মীয় বাড়ি জয়পুরহাটের খঞ্জনপুরে। গত রাতে তাদের সঙ্গে আমার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সেখানে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। আসার পথে দুঘর্টনা ঘটে। আমার ছেলে-মেয়েও গুরুত্বর আহত। তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সড়াইল মল্লার বাসিন্দা আলু ব্যবসায়ী হাবিবুল হাসান বলেন, দুর্ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তারা যদি ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আসতো তাহলে হয়তো এই দুজন মারা যেত না। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে মাইক্রোবাসের ভেতরে যাত্রীরা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল।
কালাই উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার শাহ আলম বলেন, অভিযোগ সত্য না। জানার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোসের ভেতর থেকে সবাইকে উদ্ধার করে কালাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে।
কালাই থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাইক্রোবাসটি জয়পুরহাট থেকে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল যাচ্ছিলেন। কালাই পৌরসভার নরওয়েস্ট হিমাগারের মূল ফটকের সামনে আলু বোঝাই দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে এসে মাইক্রোবাসটি ধাক্কা দেয়। এতে করে চালকসহ সবাই গুরুত্বর আহত হন। সেখান থেকে আহতদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাহিমা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুত্বর আহত সবাইকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পথে রোকন নামে আরও একজন মারা যান।
তিনি আরও বলেন, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। গাড়িটির চালক ও সহকারী পালিয়েছে। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।