ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ তিন জনেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এদিকে, নির্বাচনে সবকটি কেন্দ্রেই পাস করেছেন মো. ইকরামুল হক টিটু। রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন চৌধুরী এতথ্য জানিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, গতকাল শনিবারের নির্বাচনে যারা প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম পেয়েছেন তাদেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। নগরীতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩৯টি। প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশ হয় ২৩ হাজার ৬৮০টি ভোট। যারা এর চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন তাদেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
আরও পড়ুন: লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতলেন ইকরামুল হক টিটু
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সদস্য রেজাউল হক ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম। নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য ‘হাতি’ প্রতীকের সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু জামানত রক্ষা করতে পারলেও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমসহ অন্য দুই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
নির্বাচনে ইকরামুল হক টিটু ‘টেবিল ঘড়ি’ প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু ‘হাতি’ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। ‘ঘোড়া’ প্রতীকে এহতেশামুল আলম ১০ হাজার ৭৭৩, হরিণ প্রতীকে রেজাউল হক ১ হাজার ৪৮৭ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহীদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪৮টি। বাতিল ভোটের সংখ্যা ৪৯১টি। ভোটের শতকরা হার ৫৬.৩০ শতাংশ।