ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকদের খোঁজ নিতে স্বজনেরা এসআর শিপিং কার্যালয়ে ভিড় করেছেন।
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় এসআর শিপিংয়ের কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন নাবিকের স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
পারভিন নামে এক জিম্মির স্বজন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমার ভাই জাহাজে সাধারণ নাবিক হিসেবে কর্মরত ছিল। জিম্মি হওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।’
‘মালিকপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজে সবাই নিরাপদ ও সুস্থ আছে। তাদের মুক্তির জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’ - যোগ করেন তিনি।
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিকের মধ্যে ৯ জন চট্টগ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জেলার।
জিম্মি নাবিকরা হলেন- জাহাজের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, তৃতীয় কর্মকর্তা মো. তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী এএসএম সাইদুজ্জামান, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল ইসলাম, তৃতীয় প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন, চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, এবি মো. আনোয়ারুল হক, এবি মো. আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস জয় মাহমুদ, ওএস মো. নাজমুল হক, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামস উদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশারফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস মো. নূর উদ্দিন ও ফিটার মো. সালেহ আহমেদ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে এমভি আব্দুল্লাহ নামের পণ্যবাহী জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার তথ্য জানতে পারে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষ।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল। জাহাজটি ভারত মহাসাগর অতিক্রম করার সময় জলদস্যুদের কবলে পড়ে।
আরও পড়ুন: জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সাব্বির, খাওয়াদাওয়া বন্ধ মা-বাবার