প্রতিবন্ধী কার্ড ও ভাতার বই পাওয়ার ৪ বছর পার হলেও ভাতা পাচ্ছেন না নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের ২২নং ওয়ার্ডের শারীরিক প্রতিবন্ধী রফিকুন নিসা (৮) নামে এক শিশু।
যদি কোন অনুদান আসে তাহলে পাবেন অথবা আবেদন করে দেখেন; ৪ বছর ধরে এমন নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসুস্থ পিতাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা সমাজসেবা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। একাধিক বার যোগাযোগ করেও ভাতা পায়নি বলে জানান প্রতিবন্ধী শিশুটির পিতা রফিকুল ইসলাম। বরং তাকে তিরস্কার করেন সমাজসেবা অফিসের এক কর্মী।
বন্দর ২২নং ওয়ার্ডের আমিন আবাসিক এলাকার শহিদুল মিয়ার ভাড়াটিয়া হকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে ঘড়ির হকারি করে স্ত্রীসহ ২ মেয়ে নিয়ে কোন রকমে জীবনযাপন করছি। আমার ২ মেয়ের মধ্যে রফিকুন নিসা শারীরিক প্রতিবন্ধী। গত ৪/৫ বছর ধরে শারীরিক সমস্যার কারণে জীবিকা নির্বাহে খুব কষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় অভাব-অনটনের সংসারে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। মুখে কথাও বলতে পারে না, কানেও শুনতে পায় না মেয়েটি। এ কারণে চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধীদের তালিকায় রফিকুন নিসার নাম লিপিবদ্ধ করেছি। ২০২০ সালের ৮ আগস্ট তার নামে ইস্যু করা হয় প্রতিবন্ধী কার্ড। দেওয়া হয় ভাতার বই। এরপর অদ্যাবধি কোন সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি সে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে, মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে সমাজসেবা অফিসের লোকজন আমাকে চার বছর ধরে হয়রানি করেছেন। অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা আমাকে নানা তালবাহানা দেখিয়ে হয়রানি করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বলেন, বরাদ্দ না থাকায় সে ভাতা পাচ্ছে না। তথ্যগত সমস্যার কারণে কিছু ভাতায় সমস্যার তৈরি হয়েছে। তবে রফিকুন নিসা ভাতা কেনো পাচ্ছে না তা আমি বিস্তারিত দেখবো।
এ বিষয়ে কথা হলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ মুহামিন আল জিহান বলেন, এই ধরনের কোন বিষয়ে আমি অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখবো।