স্পেনের বিপক্ষে কলম্বিয়ার খুব বেশি প্রীতি ম্যাচ খেলার রেকর্ড নেই। ১৯৮১ সালে প্রথমবার তারা মুখোমুখি হয়েছিল প্রীতি ম্যাচে। প্রথম দেখায় হয়েছিল ১-১ গোলে ড্র। এরপর ২০২২ সালে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে হারে কলম্বিয়া। ২০১৭ সালে তৃতীয় প্রীতি ম্যাচে করে ২-২ গোলে ড্র।
শুক্রবার দিবাগত রাতে অবশ্য ইতিহাস গড়েছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দেশটি। লন্ডনে তারা স্পেনকে হারিয়ে দিয়েছে ১-০ গোলে। যা ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে পাওয়া তাদের প্রথম কোনো জয়। শুধু তাই নয়, এটা ছিল তাদের টানা পঞ্চম জয়। এ নিয়ে টানা ১৮ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো লরেঞ্জোর শিষ্যরা।
অন্যদিকে গেল ৩৬৫ দিনের মধ্যে এই প্রথম হারের স্বাদ পেলো স্পেন। ইউরো-২০২৪ কে সামনে রেখে কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে রদ্রি, দানি কারবাহাল ও আলভারো মোরাতাসহ বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড়দের নিয়ে দলকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন।
এদিন প্রথমার্ধে উভয় দল তাদের তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রেখে একাদশ সাজায়। বিরতির পর দুই দলই বেশ কিছু পরিবর্তন আনলেও কলম্বিয়া পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামে। মাঠে নামেন রিয়ালের সাবেক তারকা হাসেম রদ্রিগেজও। সঙ্গে আক্রমণভাগে ছিলেন লুইস দিয়াজ। তারা দুজন স্পেনের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন।
এই ম্যাচে স্পেনের হয়ে অভিষেক হয় সেন্টার ব্যাক দানি ভিভিয়ানের। তাকে রুখতেও বেশ বেগ পেতে হয় কলম্বিয়াকে।
লেফট উইংয়ে কলম্বিয়ার দিয়াজ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। বেশ কয়েক দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন তিনি। যেগুলো তার সতীর্থরা নষ্ট করে।
তবে ৬১ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। এ সময় দিয়াজ ক্রসে বল বাড়িয়ে দেন ডানদিকে। বেশ খানিকটা লফিয়ে উঠে সেটাতে অ্যাক্রোবেটিক শটে গোল করেন ড্যানিয়েল মুনোজ।
গোল পাওয়ার পর আরও উজ্জীবিত হয়ে খেলতে থাকে কলম্বিয়া। প্রভাব বিস্তার করে সুযোগ তৈরি করতে থাকে একের পর এক। কিন্তু আর জালের নাগাল পায়নি তারা। অন্যদিকে স্পেনও বাকি সময়ে এই গোলটি আর শোধ দিতে পারেনি। তাতে লা রোজাদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠ ছাড়ে কলম্বিয়া।