চেন্নাই সুপার কিংস তাদের প্রথম ম্যাচেই মোস্তাফিজুর রহমানকে খেলাবে সেটা হয়তো বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিরা ভাবতে পারেননি। তাইতো তারা একাদশে তার নাম দেখেই খুশি হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল কেবল খুশির ঝাপটা। বর্ষণ তখনও বাকি ছিল।
চেন্নাইর বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরুর ফাফ ডু প্লেসিস ও বিরাট কোহলি ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ ওভারেই ৩৭ রান তুলে ফেলেন।
পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। প্রথম বল ডট, পরের বলে করেন বাউন্ডারি হজম। তৃতীয় বলে দারুণ অফ কাটারে তুলে নেন মারমুখী ব্যাটিং করা ডু প্লেসিসের উইকেট। এরপর ষষ্ঠ বলে উইকেটের পেছনে মাহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভসবন্দি করে ফেরান নতুন ব্যাটসম্যান রজত পতিদারকে।
দ্বাদশ ওভারে ফিরে এসে আবারও উইকেট নেন মোস্তাফিজ। তার করা দ্বিতীয় বলটি মিড উইকেট দিয়ে উঠিয়ে মারতে গিয়ে রাচীন রবীন্দ্রের হাতে ধরা পড়েন সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। এরপর চতুর্থ বলে তুলে নেন আরও এক উইকেট। এবার তার কাটারে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে যান বেঙ্গালুরুর অজি তারকা অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিন। ২ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে চার-চারটি উইকেট তুলে নিয়ে বেঙ্গালুরুর ব্যাটিংয়ের লাগাম টেনে ধরেন দ্য ফিজ।
এরপর শেষদিকে ১৭তম ওভারে ৭ ও ১৯তম ওভারে ১৬ রান দেন মোস্তাফিজ। তাতে ২০২৪ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন তিনি। আর তার দারুণ বোলিংয়ে ভর করে চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ জিতে নেয় ৬ উইকেটে। প্রথম ম্যাচেই মুগ্ধতা ছড়ানো বোলিংয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান মোস্তাফিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বেঙ্গালুরু: ২০ ওভারে ১৭৩/৬ (অনুজ ৪৮, কার্তিক ৩৮*, ডু প্লেসিস ৩৫; মোস্তাফিজ ৪-০-২৯-৪)। চেন্নাই: ১৮.৪ ওভারে ১৭৬/৪ (রাচীন ৩৭, দুবে ৩৪*, রাহানে ২৭; গ্রিন ৩-০-২৭-২)। ফল: চেন্নাই ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা: মোস্তাফিজুর রহমান।