সারা বাংলা

নারায়ণগঞ্জে নবজাতকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে ময়লার স্তূপ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তিনি মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহান ক্লিনিকের ম্যানেজার মো. হৃদয় (২৫), স্টাফ শিফাত আক্তার (৩২), নার্স সোনিয়া আক্তার কবিতা (৩৪), বন্দরের নবীগঞ্জের আমির হোসেনের স্ত্রী শান্তি আক্তার (৪৫), তার মেয়ে আমেনা ওরফে মিথিলা (১৬) ও খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের আয়া রানী বেগম (৪৪)।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শহরের খানপুর মেইন রোড এলাকার জাহান ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজির ল্যাব ইনচার্জ মিথিলা (৪২) ও আয়া জহুরা আক্তার। এছাড়া নাম না জানা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় এসআই বোরহান উদ্দিন উল্লেখ করেন, গত ২১ মার্চ সকালে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন পেয়ে শহরের খানপার আল হেরা জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে একদিন বয়সী নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নবজাতক প্রসবকারী আমেনা ওরফে মিথিলাকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শান্তি আক্তার, রানী বেগম, মো. হৃদয়, শিফাত আক্তার এবং সোনিয়া আক্তার কবিতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসআই বোরহান উদ্দিন বলেন, গত ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অন্তঃস্বত্তা আমেনা ওরফে মিথিলা তার মা শান্তি আক্তার ও রানী বেগমের সহযোগিতায় জাহান ক্লিনিক ও প্যাথলজিতে ভর্তি হন। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি শিশু প্রসব করেন মিথিলা। পরে আসামিরা নবজাতকের লাশটি রাস্তার পাশের ময়লার স্তূপে ফেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।