লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবার দিবাগত রাতে প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে ধুকতে থাকা ব্রাজিল। ম্যাচের ৮০ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা কিশোর ফুটবলার এন্ড্রিক ফেলিপে মোরেইরা ডি সুসা।
এই গোলের মধ্য দিয়ে রেকর্ডও গড়েন তিনি। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে গোলটি করেন পালমেরাস থেকে রিয়ালে যোগ দেওয়া এন্ড্রিক। এদিন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৬ দিন। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক হওয়া এই প্রতিভাবান তরুণ নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম গোল পেলেন। অন্যদিকে নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়রের যুগ শুরু হলো জয় দিয়ে।
এদিন প্রথমার্ধের লড়াই শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে। যদিও উভয় দল বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল। ম্যাচের ১২ মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করেন ভিনিসিউস জুনিয়র। তার নেওয়া শট ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড ধরতে না পারলেও রক্ষণভাগের খেলোয়াড় গিয়ে সেটা থামান।
২৪ মিনিটের সময় ইংল্যান্ড সুযোগ তৈরি করে। এ সময় বেনি চিলওয়েলের ক্রসে বাড়িয়ে দেওয়া বলে হেড নেন হ্যারি ম্যাগুইর। কিন্তু গোল হয় না। ২৭ মিনিটে আরও একটি সুযোগ মিস হয় ইংল্যান্ডের। ৩৫ মিনিটে ব্রাজিলের ওন্ডেলের একটি প্রচেষ্টা রুখে দেয় ইংল্যান্ড। ৩৭ মিনিটে ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেনেরও একটি প্রচেষ্টা মিস হয়। তাতে গোলশূন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধের লড়াই।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও চলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। চলে সুযোগ আর গোল মিসের মহড়া। তবে ৮০ মিনিটে তরুণ তুর্কি এন্ড্রিকের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এ সময় বল পেয়ে ক্ষীপ্র গতিতে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিউস জুনিয়র। তাকে রুখতে কিছুটা সামনে এগিয়ে আসেন পিকফোর্ড। ভিনিসিউসের নেওয়া শট তার বাম পায়ে লেগে চলে যায় ডানদিক দিয়ে বক্সে ঢোকা উদীয়মান তারকা এন্ড্রিকের কাছে। এন্ড্রিক বাম পায়ে আলতো করে ট্যাপ করে ফাঁকা পোস্টে বল জালে জড়িয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+৪) ইংল্যান্ড গোল শোধের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু বক্সের বাইরে থেকে ডেকলান রাইসের নেওয়া শট রুখে দেয় ব্রাজিল। রুখে দেয় ইংল্যান্ডের সমতা ফেরানোর সুযোগও। ভবিষ্যত তারকার গোলে নিশ্চিত করে ১-০ ব্যবধানের দারুণ জয়।