মহান স্বাধীনতা দিবস আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ)। প্রতিবছর এদিনে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের ঢল নামে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সৌধ প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করা হলে বাড়তে থাকে জনতার স্রোত। শিশু-ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে সৌধ প্রাঙ্গণ।
ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদি।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের অনেকের হাতে ছিলো লাল-সবুজের বিজয় পতাকা।
বাবা সাইফুল ইসলামের হাত ধরে ঢাকার ধামরাই থেকে স্মৃতিসৌধে এসেছে শিশু মাইশা। আধো বোলে ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল সে। সাইফুল ইসলাম বলেন, সন্তানকে স্বাধীনতা দিবস ও স্মৃতিসৌধ দেখাতে নিয়ে এসেছি।
ঢাকা থেকে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আকরাম হেসেন। তিনি বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ভোরে ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছি। আমার অনেক সহকর্মী সেহরির পরপরই রওনা দিয়েছে। সকালে স্মৃতিসৌধে সবাইকে নিয়ে ফুল দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইভা বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসব এটা অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। আমরা কয়েকজন একসঙ্গে স্মৃতিসৌধে এসেছি। স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে ভালো লাগছে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, সকালে জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পর দলে দলে মানুষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধার ফুলে ধীরে ধীরে বেদি ভরে যাচ্ছে। শ্রদ্ধা নিবেদনের সুবিধার্থে বেদি থেকে ফুল অপসারণ করা হচ্ছে।
এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে স্মৃতিসৌধসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।