ঈদ এলে শপিংমল থেকে সুপারশপ- সব জায়গায় ক্রেতাদের অনেক ভিড় বেড়ে যায়। এ সময় টাকা ভালো করে দেখে নেওয়ার সুযোগ ও সময় কম থাকায় অসাধু লোকেরা বাজারে জাল নোট ছাড়তে শুরু করে। তাই টাকা লেনদেন করার সময় অবশ্যই ১০০, ৫০০ এবং ১০০০টাকার নোটগুলো চেক করে নেবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী জাল নোট চেনার কয়েকটি উপায় জানিয়ে দিচ্ছি।
এক. ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকাসহ প্রত্যেক ধরনের নোটের সামনে ও পেছন দুদিকের ডিজাইন, মধ্যভাগের লেখা, নোটের মূল্যমান ও ৭টি সমান্তরাল সরলরেখা উঁচু-নিচু-ভাবে মুদ্রণ করা হয়। এই নোটগুলোতে হাত দিলে খসখসে মনে হবে।
দুই. ১০০ টাকার ক্ষেত্রে তিনটি, ৫০০ টাকার ক্ষেত্রে ৪টি ও ১০০০ টাকার নোটে ৫টি ছোট বৃত্তাকার ছাপ নোটের ডানদিকে থাকে।এতে হাত দিলে নোটের ওই অংশ উঁচু-নিচু লাগে। যদিও এ পদ্ধতিতে জাল নোট শনাক্ত করা কঠিন।
তিন. জাল নোটের জলছাপ স্পষ্ট হয় না। এমনকি মুদ্রণও ভালো হয় না। আসল নোটে ‘বাঘের মাথা’ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘মনোগ্রাম’-এর স্পষ্ট জলছাপ আছে। আলোর বিপরীতে এই জলছাপ ভালোভাবেই দেখা যাবে।
চার. প্রত্যেক মূল্যমানের নোটেই বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো সংবলিত নিরাপত্তা সুতা থাকে। নোটের মূল্যমান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো নিরাপত্তা সুতার ৪টি স্থানে মুদ্রিত থাকে। এ নিরাপত্তা সুতা অনেক মজবুত, যা নোটের কাগজের সঙ্গে এমনভাবে সেঁটে দেওয়া থাকে যে নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সুতা কোনোভাবেই উঠানো সম্ভব নয়। নকল নোটে এত নিখুঁতভাবে সুতাটি দিতে পারে না।
পাঁচ. ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের ওপরের ডানদিকে কোনায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রং পরিবর্তন করে এমন রঙ দিয়ে মুদ্রণ করা। ফলে ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট ধীরে ধীরে নড়াচড়া করলে মূল্যমান লেখাটি সোনালি থেকে সবুজ রং ধারণ করে। এভাবে ৫০০ লেখা লালচে থেকে সবুজাভ হয়। জাল নোট রঙ বদল হয় না।
ছয়. প্রকৃত নোটগুলোতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান জলছাপ হিসেবে মুদ্রিত রাখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম ও নোটের মূল্যমান প্রতিকৃতির তুলনায় উজ্জ্বল দেখায়। নকল নোটে এমন কিছুই দেখা যাবে না।
উল্লেখ্য, বড় লেনদেন করার ক্ষেত্রে ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। জাল নোট ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখলে শুধু একটা রেখা দেখা যাবে।