ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলতে নেমে একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩০০তম উইকেটের দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশি পেসার। এমন মাইলফলকের দিনে অবশ্য বল হাতে আলো ছড়াতে পারেনি মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজের বিবর্ণ দিনে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তুলেছে তারা। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ১ উইকেট পেলেও রান খরচ করেছেন ৪৭।
দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখান মোস্তাফিজ।২৪২ ম্যাচে ২৪০ ইনিংসে ২৬তম বোলার হিসেবে কাটার মাস্টার পূর্ণ করেছেন টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেট। ফিজের আগে এই মাইলফলকে পৌঁছেছেন সাকিব আল হাসান। ৪২১ ইনিংসে সাকিবের উইকেট ৪৮২টি। ৫৩৯ ইনিংসে ৬২৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষে ডোয়াইন ব্রাভো।
ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে থাকেন দিল্লির দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও আসরে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পাওয়া পৃথ্বী শ। দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেন ৯৩ রান। এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। তাতে অবশ্য কৃতিত্ব বেশি দিতে হয় মাথিশা পাথিরানাকে।
১০ম ওভারে বোলিংয়ে এসে তৃতীয় বলে উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। মোস্তাফিজের বলে ওয়ার্নার স্কুপ করলে শর্ট ফাইন লেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন পাথিরানা। তাতে প্রথম উইকেটের স্বাদ পায় চেন্নাই। পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৩৫ বলে ৫২ রান করে বিদায় নেন ওয়ার্নার। এই ওভারে মোস্তাফিজ খরচ করেন কেবল ৪ রান।
ওয়ার্নারের বিদায়ের পর দিল্লিকে পথ দেখান পৃথ্বী ও পন্ত। দুজন মিলে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। এর মধ্যে পৃথ্বী ৪৭ রান করে বিদায় নিলেও পন্ত একেবারে ফিফটি করেই উঠেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা পন্ত মাত্র ৩২ বলে ৪টি চার ৩ ছক্কার মারে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। এছাড়াও মিচেল মার্শ ১২ বলে করেন ১৮ রান।