বগুড়ার নন্দীগ্রামে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে দুই কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুই জনকে গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে, গত বুধবার নন্দীগ্রাম পৌরসভার নামুইট তিনমাথা বাজারে ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগীরা হলো- উপজেলার তাঁরাটিয়া এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মুর্শিদুল ও ভাটরা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সুমন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নামুইট তিনমাথা বাজার এলাকার মৃত সিদ্দিক হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৫৫) এবং নামুইট চকপাড়া গ্রামের ফেরদৌসের ছেলে মো. লিটন প্রাং ওরফে কাচু (৩২)।
স্থানীয়রা জানান, নামুইট তিনমাথা বাজারে ওয়াক্ত নতুন জামে মসজিদের দানবাক্স থেকে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে গত বুধবার (২৭ মার্চ) দুই কিশোরকে রাস্তা থেকে ধরে আনেন নজরুল ও কাচু। পরে গ্রামের কয়েকজন মোড়ল একত্রিত হয়ে দুই কিশোরকে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে সালিশ বসান। সেসময় ওই কিশোরদের ওপর অমানসিক নির্যাতন করা হয়। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী সুমন জানায়, বাবা-ছেলে অটোভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সকালে বন্ধুকে নিয়ে অটোভ্যান নিয়ে নন্দীগ্রাম শহরের দিকে যায় সে। নামুইট মোড়ে ভ্যান থামানোর সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে চোর চোর করে চিৎকার করেন নামুইট গ্রামের নজরুল। কয়েকজন মোড়ল ও স্থানীয় লোকজন এসে তাদের মারতে মারতে রাস্তার পাশে নিয়ে যায়।
সুমজ আরও জানায়, চোর আখ্যা দিয়ে একঘণ্টা নির্যাতন চালায় তারা। প্রমাণ ছাড়া মারধরের বিষয়ে কয়েকজন প্রশ্ন করলে তাদের মসজিদের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় আধাঘন্টা নির্যাতনের পর তাদের (ভুক্তভোগী) নামুইট তিনমাথা মোড়ে এনে কড়ই গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম বলেন, ঘটনার জানার পরই আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুমনের বাবা মিজানুর রহমান গতকাল বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও কয়েকজনকে নাম না জানা আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।