দেহঘড়ি

পুষ্টিবিদের প্রেসক্রিপশন: রমজানে সুস্থ থাকার উপায়

রোজায় ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত খাবার গ্রহণের সুযোগ থাকে। এই সময়টাকে ‘তিনটি মিলে’ বা ‘চারটি মিলে’ ভাগ করে খাবার গ্রহণ করা ভালো। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য মানতে হবে বেশ কয়েকটি উপায়।

১. ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পুরো খাবার গ্রহণের সময়টাকে  ‘চারটি মিলে’ ভাগ করে নিন। অর্থাৎ অল্প অল্প পরিমাণে চার বার খাবার গ্রহণ করুন। একবারে বেশি খাবেন না।

২. খাবার ধীরে ধীরে খাবেন এবং প্রত্যেকে পরিমাণ মতো খাবার গ্রহন করবেন, অন্যথায় বুকজ্বলা,গলা জ্বালা ও অস্বস্তি শুরু হবে।

৩. ইফতারের কিছু সময় পর ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট হাঁটতে পারেন। 

৪. সেহরিতে লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, আখেঁর গুড় (প্রয়োজনে) রাখতে পারেন। 

৫. ইফতারের এক ঘণ্টা বা কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর গ্রিন টি, আদা-চা, রং-চা ( দুধ চা ব্যতীত ) পান করতে পারেন। 

৬. সেহরি ও ইফতারে সুষম খাবার আইটেম বাছাই করা উচিত। অর্থাৎ লো গ্লিসামিক আইটেমগুলো গ্রহণ করা উচিত। যা শরীরের মেটাবলিক রেট ও হজম প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে পরিচালিত করবে। 

৭. রমজানে অবশ্যই আদর্শ খাদ্য গ্রুপের বা পিরামিডের  প্রতিটি আইটেম যেমন: শাক-সবজি, সিরিয়াল, মাংস, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ফলমূল এই পাচঁটি গ্রুপের মোটামুটি সবগুলো খাবার তালিকায় রাখা উচিত। 

৮. দীর্ঘ সময়ের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করে- এমন খাবার সেহরিতে খেতে হবে। সেহরির সময় খাবারের আইটেমগুলো নির্বাচনের প্রতি যত্নবানও মনোযোগ দিন।

উল্লেখ্য,গর্ভবতী মা, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী নিউট্রিশনিষ্ট এর পরামর্শ  মত খাবারের তালিকা ঠিক করে নিতে হবে।