ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দুই সিরিজের কোনো ম্যাচে ব্যাটে-বলে লড়াইটুকু করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে নেমে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাজেভাবে।
বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। তাড়া করতে নেমে মাত্র ৭৮ অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৭৭ রানের জয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে প্রথমবার বাংলাদেশ সফর শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। আগের তিন ওয়ানডেতে এক’শ পেরোতে না পারলেও টি-টোয়েন্টিতে এসেই ১২৭ রানের লক্ষ্য দেয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই রান যে পর্যাপ্ত নয় তা বাংলাদেশ টের পেয়েছে ১০ উইকেটে হেরে।
দ্বিতীয় ম্যাচে ফাহিরা তৃষ্ণার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকের পরও অস্ট্রেলিয়া ১৬২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে। বাংলাদেশ তাড়া করতে নেমে ১০৩ রানে অলআউট হয়। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে এই ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের সামনে।
আজ তাড়া করতে নেমে বরাবরের মতো শুরু থেকে ছিল উইকেটের মিছিল। স্কোরবোর্ডে পুঁজি ৫০ না হতে নেই হয়ে যায় ৮ উইকেট। অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লড়াই করে হারের ব্যবধান কিছুটা কমাতে পারেন।
তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩২ রান। ইনিংসের শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনি আউট হন। ১২ রান করেন দিলারা আক্তার। ফাহিমা খাতুন ১১ ও রিতু মণি ১০ রান করে ফেরেন সাজঘরে। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইলা ব্লেমিঙ্ক।
এর আগে ১৬ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ ছিল বাংলাদেশের নাগালের মধ্যে। এরপর গ্রেস হ্যারিসকে সঙ্গে নিয়ে তাহিলা ম্যাকগ্রাথের ঝড়ে রান দেড়শ ছড়িয়ে বাংলাদেশের নাগালের বাইরে চলে যায়। ষষ্ঠ জুটিতে ম্যাকগ্রাথ-হ্যারিস মাত্র ২৭ বলে যোগ করেন ৫৭ রান।
২৯ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ম্যাকগ্রাথ। দুটি করে ছয়-চারে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল। ১১ বলে ১৯ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন হ্যারিস। দুজনেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। অথচ ১০০ রান করতেই দলটির খরচ হয় ১৬ ওভার। ওভার প্রতি রান ছিল ছয়ের একটু বেশি। কিন্তু শেষ চার ওভারে ৫৫ রান নিয়ে বাংলাদেশের জন্য কঠিন করে ফেলে সফরকারীরা।
২৯ বলে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ওপেনিংয়ে নামা অধিয়ানয়ক অ্যালিসা হ্যালি। আরেক ওপেনার বেথ মুনি ১৩ বলে ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। ২১ বলে ১৬ রান করেন গার্ডনার।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন নাহিদা আক্তার। ১টি করে উইকেট নেন শরিফা খাতুন ও রাবেয়া খান।