সারা বাংলা

‘কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা সম্ভব হচ্ছে না’

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় কয়েকটি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও টাকা লুটের পর কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাথে সব ধরনের সংলাপ ও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। একই সাথে এ ঘটনার জন্য নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কমিটির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। 

সম্মেলনে কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, কেএনএফের সঙ্গে চলমান সংলাপ চলাকালে হামলার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, রুমা ও থানচির ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সকল ধরনের প্রচেষ্টা পদানত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সকল ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। বিধায় আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়। এ ছাড়া, বুধবার থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে পুনরায় হামলা চালিয়ে টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকে।

এ ঘটনার পর সেখানে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি তিন উপজেলায় ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে কৃষি ও সোনালী ব্যাংক। একই সাথে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

নিরাপত্তার কারণে এ তিনটি উপজেলার ব্যাংকগুলোর ১৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের এবং ভল্টে থাকা নগদ টাকা জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।

ঈদ ও সাংগ্রাইকে কেন্দ্র করে যাদের ব্যাংকিং লেনদেন রয়েছে সব ধরনের লেনদেন আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বান্দরবান সদর শাখায় করা যাবে বলে জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংকে এজিএম ওসমান গনি।