অন্তঃসত্ত্বা নারীর জন্য দূরপাল্লার ঈদযাত্রা কেমন হওয়া উচিত, এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা দরকার। গবেষকেরা বলছেন, গর্ভধারণের ২৮ সপ্তাহ অতিক্রম হয়ে গেলে দীর্ঘ সময়ের জন্য বসে থাকা কঠিন হতে পারে। এই সময়ে শরীর অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায়।
তবে সুস্থতা বোধ করলে ধারে-কাছে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন। গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য জার্নি করা ঠিক হবে কিনা, দূরে কোথাও গেলে কতটুকু যাবেন, কোন মাধ্যমে যাওয়া আপনার জন্য সঠিক উপায় হবে এই বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তারপর কোথাও যাবেন কিনা ঠিক করুন।
আপনার চিকিৎসক যদি আপনাকে ভ্রমণের পরামর্শ দেন, তাহলে রোড ট্রিপের পরিকল্পনাটি ঠিকঠাক সাজিয়ে নিন। এ সময় অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় নেওয়া উচিত। নিশ্চিত করতে হবে- এই ভ্রমণ যেন আপনার মানসিক প্রশান্তি দেয়। সেজন্য হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। আরামদায়ক পোশাক পরুন। এ সময় স্বাস্থ্যকর খাবার, স্ন্যাকস এবং পানীয় জাতীয় খাবার সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে নিতে ভুল করবেন না। ভ্রমণ সহায়ক আনুষাঙ্গিকগুলোও মনে করে সঙ্গে নিতে হবে। যেমন, একটি বালিশ, আরামদায়ক জুতা এবং একটি ভালো পানির বোতল, সানগ্লাস এবং সানস্ক্রিন। ভ্রমণের সময় খুব টাইট পোশাক এবং টাইট জুতা পরা এড়িয়ে চলুন।
সম্ভব হলে পথে বিরতি নিন তারপর আবার ভ্রমণ করুন। গর্ভবতী মায়েদের টানা দুই ঘণ্টার বেশি ভ্রমণ করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। দূরবর্তী স্থানগুলোতে না যাওয়ায় ভালো। কোন পথে ভ্রমণ করছেন, সেই পথ সম্পর্কে জানা জরুরি। এলোমেলো রাস্তা এবং ঘন ঘন লেন পরিবর্তন করতে হয়, এমন রাস্তা এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও, অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্রমণ করবেন না, যেখানে জরুরি অবস্থায় চিকিৎসা সেবা পাওয়া কঠিন হতে পারে।
ভ্রমণের ফলে গর্ভাবস্থায় রক্তপাত ঘটতে পারে। সেইসাথে গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে- যেমন রক্তক্ষরণ বা রক্তজমাট বাঁধতে পারে। গর্ভাবস্থায় দীর্ঘপথ ভ্রমণ করলে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই দূরে কোথাও যাওয়ার সময় আপনার সঙ্গে মেডিকেল রেকর্ডের একটি অনুলিপি নিন। রোড ট্রিপে কোনো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
তথ্যসূত্র: প্যারেন্টসডটকম