ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইট ভাটার মাটি ও বালুবহনকারী অনুমোদনহীন ট্রাক্টর, মাহিন্দ্রা এবং শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। এর ফলে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সড়ক, অন্যদিকে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের যানবহান চলাচল করলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
সোমবার (৮ এপ্রিল) ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, সড়কে সব ধরনের অবৈধ যানবাহন বন্ধ করতে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে। দ্রুত এসব যানবাহন বন্ধ করা হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় বন্ধ হচ্ছে না এই অবৈধ যানবাহন। অদক্ষ্য চালকদের দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে যানবাহনগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তাই দ্রুত মাহিন্দ্রা, ট্রাক্টর এবং শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাউকাঠি বাজার সংলগ্ন পানজিপুথিপাড়া থেকে হিমানন্দকাঠি সড়কে অবাদে চলাচল করছে ট্রাক্টর, মাহিন্দ্রা এবং শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব যানবহন সড়ক দাপিয়ে বেড়ায়। ফলে এই সড়কে চলাচল করা রিকশা ও মটোরসাইকেল চালকদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের ২৩ তারিখে উদ্বোধন হওয়া পানজিপুথিপাড়া থেকে হিমানন্দকাঠি চার কিলোমিটারের এই সড়কটি। সদ্য নির্মিত এই সড়কের অনেক স্থান থেকে পিস উঠতে শুরু করেছে। তাই এই সড় অবৈধ যানবাহন চলাচল দ্রুত বন্ধ করার দাবি স্থানীয়দের।
রিকশা চালক সোলেমান হোসেন বলেন, রাস্তায় আমাদের চলতে ভয় করে। ট্রাক্টর ও মাহিন্দ্রা অনেক দ্রুত যাতায়াত করে। যেকোনো সময় এই গাড়ি গুলোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এগুলো বন্ধ করা দরকার।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক মাহিন্দ্রা চালক বলেন, আমরাতো লেবার। কাজের বিনিময়ে টাকা পাই। এমএস ইট ভাটার জন্য মাহিন্দ্রাতে করে মাটি নেওয়া হয়। আমরা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেই গাড়ি চালাই।