পদবি গোপন করে নিজের ও স্ত্রীর নামে জাতীয় পুরস্কারের জন্য আবেদন করে শাস্তি পেয়েছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন। এ ঘটনায় তাকে ‘তিরস্কার’সূচক লঘুদণ্ড দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ রুহুল আমীন ২০২২ সালের ৫ জুন অনুষ্ঠিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষমেলার প্রাক্কালে হীন ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল না হওয়ায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ও আইনসম্মত কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮–এর ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে, তিনি বেশ কয়েকটি বাগান সৃজন করে জনস্বার্থের জন্য ইতিবাচক কাজ করেছেন বিধায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও তাকে সর্বনিম্ন দণ্ড ‘তিরস্কার’ প্রদান করা সমীচীন বলে প্রতীয়মান হয়।
পদবি গোপন করে নিজের ও স্ত্রীর নামে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, ২০২২–এর জন্য আবেদন করেছিলেন রুহুল আমীন। পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত উপজেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি সেই আবেদন জেলা ও বিভাগীয় কমিটির কাছে সুপারিশও করেছিলেন। এটা প্রমাণিত হওয়ায় ‘অসদাচরণের’ দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে ‘তিরস্কার’সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমীন বর্তমানে বাংলাদেশ চা বোর্ড, চট্টগ্রামে সচিব (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।