সারা বাংলা

ঈদের দ্বিতীয় দিন পর্যটকে মুখর কুয়াকাটা

দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত। এছাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, সীমা বৌদ্ধ বিহার ও রাখানইন মার্কেটসহ প্রতিটি পর্যটন স্পটেই এখন তাদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দেশের অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্রে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) পর্যটকদের উপস্থিতি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা। 

এদিকে, পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পর্যটকরা সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া ছোট-বড় সমুদ্রের ঢেউয়ে সাঁতার কেটে আনন্দ করছেন। অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্রে নেমে করছেন হইহুল্লোড় । অনেক পর্যটককে ঘোড়া, ওটার বাইক কিংবা মোটরসাইকেলে চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট এবংসমুদ্রের বুকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। অনেককেই আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভোগ করছেন। পর্যটকদের ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে প্রতিটি দোকানে। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল। 

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সজীব-ইয়াসমিন দম্পতি বলেন, এখানে সবকিছুই ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সৈকতের বুকে আসা ছোট বড় সমুদ্রের ঢেউ। অন্যরকম অনুভূতি পেয়েছি। 

খুলনা থেকে আসা অপর পর্যটক রিয়াজ মিয়া বলেন, বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। সৈকতে এখন জোয়ার চলছে। বন্ধুরা মিলে হইহুল্লোড় করে ভ্রমণে মেতে রয়েছি। সময়টা দারুন কাটছে। 

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, ছুটিতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা ঈদের আগের দিনই মিটিং করেছি। মাঠে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং ৪০ জন স্কাউটের সদস্যরা কাজ করছে। আশা করছি, পর্যটকরা নিরাপদে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবেন।