সারা বাংলা

ভোলার বিনোদন স্পটগুলোতে মানুষের ঢল

ঈদের ছুটিতে দ্বীপ জেলা ভোলার বিনোদন স্পটগুলোতে এখন মানুষের প্রচুর ভিড়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘনা নদীর কোলঘেঁষে মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা শাহাবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রটিতে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেছে ছুটিতে বাড়িতে আসা শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষদের। শুধু মেঘনা নদীর তীরই নয়, ভোলার বাংলা বাজার বাগমারা ব্রিজ, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, মনপুরা, চরফ্যাশনে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উঁচু জ্যাকব টাওয়ার, দৃষ্টিনন্দন শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক এবং বেতুয়া প্রশান্তি পার্কেও ছিল ভিড়।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বন্ধুদের নিয়ে শাহাবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা মো. হ্যাভেন বলেন, প্রতিবছর এই সময়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করি। বিভিন্ন জায়গা থেকে ঈদের ছুটিতে বন্ধুরা ভোলায় আসে। ফলে সবার সঙ্গে একত্রিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। দলবেধে বন্ধুদের সঙ্গে এই পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে এসেছি। এখানে ঘুরে আনন্দ করছি। এখানকার পরিবেশও ভালো। যে কেউই এখানে পরিবার পরিজন নিয়ে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

পরিবার পরিজন নিয়ে এবার প্রথম ঈদ করতে ভোলায় এসেছেন রাবেয়া খাতুন মেরী। কথা হলে তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে এ বছর প্রথম ভোলায় ঈদ করতে এসেছি। ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে এসেছি শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রে। মেঘনা নদীর পাশে গড়ে ওঠা সুন্দর একটা স্পট দেখে খুবই ভালো লাগছে। নদী, নৌকার এমন দৃশ্য সামনে থেকে দেখতে কার না ভালো লাগে। সব মিলিয়ে এখানে ঘুরতে এসে খুব আনন্দ পেয়েছি। 

ঈদ উপলক্ষ্যে ভোলার বিনোদন স্পট গুলোকে সাজানো হয়েছে নানা অপরূপ সাজে। ফলে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ঘুরতে এসে খুশি পর্যটক ও দর্শনার্থীরা।তবে কেউ কেউ নতুন আরো পর্যটন স্পট গড়ে তোলার দাবিও জানান।

শাহবাজপুর পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা মো. শুভ বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এলাম। অনেক সাজানো গোছানো এখানকার পরিবেশ। অনেক ভালো লেগেছে ঘুরে বেড়াতে। তবে ভোলায় আরো নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা প্রয়োজন। এখানে যে পরিমাণ জাগয়া, তার চেয়ে মানুষের সংখ্যা হয়েছে বেশি। পর্যটন কেন্দ্র সীমিত হওয়ায় মানুষ সব এই জায়গাতেই বেড়াতে আসেন। যদি আরো কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র থাকতো তাহলে হয়তো এতোটা ভিড় হতো না।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভোলার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসা নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পর্যটন স্পটে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত।