আইপিএলে অভিষেকে ফিফটির রেকর্ড তো আছেই। কিন্তু খুব কম ব্যাটসম্যানই আছেন যারা নিজেদের ছাপ রাখতে পারেন। মনের কোনো জায়গা করে নিতে পারেন।
শুক্রবার দিল্লি ক্যাপিটালস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার তরুণ জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক যা করলেন তা রীতিমত চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছে সকলকে। এমনিতেই তাকে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার নতুন ম্যাক্সওয়েল। নামের প্রতি যেন সুবিচার করলেন। লক্ষ্ণৌর দেওয়া ১৬৮ রান তাড়ায় ২৪ রানে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে হারায় দিল্লি। তখন ক্রিজে আসেন ম্যাকগার্ক। পরের ৪৮ মিনিটে স্রেফ মুগ্ধতা ছড়ান।
আগ্রাসন, দাপট, শট নির্বাচন, রানিং বিটুউন দ্য উইকেট সব কিছু মিলিয়ে অনন্য এক প্যাকেজ। ৩৫ বলে খেললেন ৫৫ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ৫ বিশাল ছক্কার মার। হার্দিক পান্ডিয়ার বড় ভাই ক্রুয়াল পান্ডিয়াকে পরপর ৩ ছক্কা হাঁকাতেও কোনো ভয় করেননি। প্রথমবার আইপিএলে খেলতে নেমে রান তাড়া করার চ্যালেঞ্জ, প্রতিপক্ষের মাঠে নামার চ্যালেঞ্জ কোনো কিছুই তার মধ্যে ছিল না। বরং সাহসিকতার ছাপ ছিল তার ইনিংসে। ম্যাচটা দিল্লি জয় পাওয়ায় কাজে এসেছে ম্যাকগার্কের বিস্ফোরক ইনিংস।
ম্যাচ শেষে ব্রডকাস্টের সঙ্গে কথা বলে নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নতুন সেনসেশন, ‘পাঁচ-ছয় ম্যাচ আমি সাইডলাইনে বসে দেখছিলাম। মাঠে নামতে তর সইছিল না। নিজের প্রথম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় ছিলাম এবং দলকে জেতানোর সুযোগ খুঁজছিলাম। খুব বেশি কিছু করার চেষ্টা না করা, ভারসাম্য না হারানো… ব্যাটের মাঝখানে লাগানোর চেষ্টা করা। বল দেখে সেভাবেই সাড়া দেওয়া। গত ১২ মাসে এভাবেই চেষ্টা করে গেছি। সেটি বদলাচ্ছি না।’
কাভারের ওপর দিয়ে ক্রুনালকে মারা ছক্কাটা তার চোখে সেরা শট, ‘আমি কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কাটা মেরে আনন্দ পেয়েছি। অফ সাইডে আমি খুব বেশি বল হিট করি না। এটা নি আমার কাজ করার আছে। এছাড়া পাওয়ার প্লে’তে ভালো ব্যাটিংয়ের খোঁজ করতে হবে। আমি মনে করি অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে স্কিলেরও উন্নতি হয়। আরো বেশি ম্যাচ খেলতে পারলে আরো উন্নতি হবে।’
এবারের আইপিএলে প্রথমবার খেলছেন ম্যাকগার্ক। এরকম প্রতিযোগিতা আর কোথায় দেখেন না তিনি, ‘এখানে থাকতে পেরে আমি খুশি। ভিন্ন এক দুনিয়া। এরকম কিছু জীবনে কখনও দেখিনি আগে। শুনেছি অনেক, কিন্তু নিজে কখনও অভিজ্ঞতাটা পাইনি। আট সপ্তাহ বা আরও বেশি সময় এখানে থাকতে পারছি, এটা বলতে পারাটাও দারুণ। ভারতে এই সময়টা কাটাতে পারা এবং এই স্পেশাল লিগে খেলা অসাধারণ ব্যাপার।’