কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ঝাউ বাগান, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চরসহ প্রতিটি ভ্রমণ স্পটে রয়েছে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি। রোববার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনকে বরণ করে নিতে সরকারি ছুটিতে এসব পর্যটকের আগমন ঘটেছে। সকাল থেকে সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে, বেঞ্চিতে বসে এবং বন্ধু ও স্বজনদের সঙ্গে হইহুল্লোড়ে করে মেতে থাকতে দেখা গেছে তাদের।
এদিকে, পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আসা পর্যটক শাহ আলম বলেন, গতকাল শনিবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। এখন সমুদ্রের বড় ঢেউ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে, সমুদ্রের যে গর্জন সেটা আমাদের মুগ্ধ করেছে। সবেচেয়ে বেশি আনন্দে মেতেছে আমাদের বাচ্চারা।
ঢাকার গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক রইসুল ইসলাম টিপু বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে ঈদের ছুটি কাটাতে এবং পহেলা বৈশাখ উদযাপনে কুয়াকাটায় এসেছি। বৈশাখ উপলক্ষে এখানে তেমন আয়োজন না থাকলেও আমরা চর গঙ্গামতি, ঝাউ বাগান ও তিন নদীর মোহনায় ঘুরেছি। কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দারুন লাগছে। বন্ধুরা মিলে সাঁতার কেটেছি সমুদ্রে।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন করেছি। নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ ও ৪০ জন রোভার স্কাউট সদস্য পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে। আশা করছি, পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের ভ্রমন উপভোগ করতে পারবেন।