কর্মস্থলে যোগ দিতে ঈদুল ফিতর ও পয়লা বৈশাখের লম্বা ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন কর্মজীবীরা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ভোর থেকে দূরপাল্লার বাস ঢুকছে ঢাকায়। বাস থেকে নেমে সিএনজিচালিত আটোরিকশা, মোটরবাইক যোগে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন মানুষ। তবে গত কয়েক বছরের মতো চাপ নেই গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রত্যাশার ৬০ শতাংশ মানুষ এই রুটে ঢাকা ফিরছেন।
এদিকে, বাড়ি থেকে কর্মমুখী মানুষ ঢাকায় ফেরায় ফাঁকা নগরীতে ফিরেছে ব্যস্ততা। তবে গণপরিবহন সংকট থাকায় বাস স্টেশন থেকে নিজস্ব গন্তব্যে যেতে বেগ পেতে হচ্ছে ঢাকায় ফেরা মানুষদের। এতে দীর্ঘসময় ধরে পরিবার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি থেকে শ্যামলী পরিবহনে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাস্তায় তেমন সমস্যা ছাড়াই ঢাকায় এসেছি। তবে সকাল থেকে গাবতলীতে গণপরিবহন না থাকায় প্রায় ৪০ মিনিট রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়েছে।
ব্যাংক কর্মকর্তা মনি আক্তার বলেন, রাস্তায় স্বস্তিতে আসছি। তবে ঢাকা ঢুকে জটিলতায় পড়েছি। গণপরিবহন পাচ্ছি না। দু-একটা অটোরিকশা পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছিলো। শ্যাওড়াপাড়া যাবো, তাই ঘণ্টাখানেক ধরে অপেক্ষা করছি।
নওগাঁ থেকে আসা আরাফাত বলেন, ঈদের ছুটির কারণে সকালে গণপরিবহন নেই। ঢাকা ফাঁকা থাকায় বাসও তেমন নেই রাস্তায়। এই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে সবাই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এছাড়া আর কোনো ভোগান্তি পাইনি।
গাবতলী বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মুস্তাফিজ বলেন, আমাদের কাঙ্ক্ষিত যাত্রী যাওয়ার সময়ও মেলেনি। আসার সময়ও নেই। মানুষ ট্রেনে বেশি গেছে, ফিরছেও ট্রেনে।
এদিকে, একের পর এক দূরপাল্লার বাস ঢুকছে রাজধানীতে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত একজন সার্জেন্ট বলেন, প্রতি ঘণ্টায় শতাধিক বাস ঢাকায় প্রবেশ করছে। এতে সময়ের সাথে ফাঁকা রাজধানীতে গাড়ির চাপ বাড়ছে। বসে থাকা গণপরিবহনগুলোও সড়কে নামছে। ফলে কিছুটা চাপ নিতে হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বরতদের।
গাবতলী মাজার রোডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ রবিউল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টা থেকে গাড়ি ঢুকছে। ৭টার দিকে চাপ বাড়ে। সন্দেহ মনে হলে জিজ্ঞাসা করে কাগজপত্র চেক করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।