বান্দরবানে চলছে মারমা সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী বর্ষবরণ উৎসব সাংগ্রাই। এর অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে মাহা সাংগ্রাই পোয়ে’র জলকেলি উৎসব। এটি এখন শুধু মারমাদেরই না এই উৎসব এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে মারমা সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রাইং পোয়ে উৎসব উপলক্ষে বান্দরবান শহরে রাজারমাঠে আয়োজন করা হয় তরুণ-তরুণীদের জলকেলি উৎসব।
পুরো শহরজুড়ে হচ্ছে পানির খেলা বা মৈত্রী পানি বর্ষণ। এই জলকেলি উৎসব দুই দিনব্যাপী চলবে। শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও একে অপরের গায়ে পানি ঢেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিচ্ছেন। উৎসবে যোগ দিয়েছেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। আনন্দ, উদ্দীপনা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে বর্ণিল হয়ে উঠেছে পার্বত্য জেলা বান্দরবান।
জলকেলি উৎসবে পাশাপাশি মঞ্চে চলে সাংগ্রাই’র ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর দল বেঁধে পানি খেলা প্রতিযোগিতায় নেচে গেয়ে আনন্দ উৎসবে নানা রঙ’র পোশাক পড়ে সাংগ্রাই উৎসব পালন করে মারমা সম্প্রদায়।
প্রথম দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু, সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র শামসুল ইসলামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বান্দরবানের বাঙালিসহ ১২ সম্প্রদায়ের লোকজন।
জলকেলি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আয়োজন করা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা যেমন: তৈলাক্ত বাঁশের ওপর আরোহণসহ নানা ইভেন্টে অংশ নেন প্রতিযোগিরা।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জলকেলি শেষে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে সমবেত প্রার্থনার মাধ্যমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিন দিনব্যাপী নতুন বর্ষবরণের সাংগ্রাই উৎসব।