সূর্যের চোখ রাঙানিতে খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে থাকা দায়। এর মধ্যে হঠাৎ করে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। তারও আগে নাহিদ রানার গতির ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে মোহামেডান শিবির। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সাদা-কালো শিবির।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মুখোমুখি হয় মোহামেডান-শাইনপুকুর। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নাহিদ রানার ফাইফারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান করে মোহামেডান। তাড়া করতে নেমে ২৭.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ১০ রাউন্ড শেষে শাইনপুকুরের এটি সপ্তম জয়, অন্যদিকে সমান রাউন্ডে মোহামেডানের তৃতীয় হার।
মোহামেডানের রান তাড়া করতে নেমে সঠিক পথেই চলছিল শাইনপুকুরের ইনিংস। ২৪.৩ ওভারে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ২ ঘণ্টা। বৃষ্টি গেলে শাইনপুকুরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩ বলে ৩৬ রান। মোহামেডানের এলোমেলো বোলিংয়ে ১৪ বল আগেই জিতে যায় শাইনপুকুর। খেলা মাঠে না গড়ালেও ফল হতো একই।
আকবর আলী ২৭ ও ইরফান শুক্কুর ১১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে তানজীদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া জিসান আলম ২৬, মার্শাল আইয়ুব ৩০ রান করেন। মোহামেডানের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, নাঈম হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। ৩১ রানে দলটি হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট। শূন্যরানে ফেরেন ফর্মে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন ইমরুল কায়েস। ফিফটির পর ৫৬ রানে ইমরুল আউট হলে ভাঙে জুটি। মিরাজও ফেরেন ২৯ রানে।
মাঝে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড় দলটি। এরপর ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান আবু হায়দার রনি-আরিফুল হক। দুজনে ফিফটির জুটিতে দলীয় সংগ্রহ দুই’শ পার করেন। রনি ৫১ ও আরিফুল ৩০ রান করেন। শেষে নাঈম হাসান ১২ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
শাইনপুকুরের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন রানা। তিনি ৪৫ রান দিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইফার নেন। তার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। এ ছাড়া ২ উইকেট পান হাসান মুরাদ।