এশিয়া কাপ আয়োজকদের তালিকায় বারবারই এগিয়ে থাকে ভারত ও পাকিস্তান। কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের রেশ এতোটাই প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, টুর্নামেন্টের সামনের আসরগুলোর আয়োজকের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে তারা। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
এশিয়া কাপ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তে আসতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। আগামী মাসে পরবর্তী চার থেকে আট বছরের জন্য এশিয়া কাপের মিডিয়া স্বত্ব নিয়ে বিড করার পরিকল্পনা করতে যাচ্ছে এসিসি। সেখানেই আয়োজক নির্ধারণ নিয়েও হয়েছে সিদ্ধান্ত।
ক্রিকবাজের ভাষ্যমতে, চার অথবা আট বছর মেয়াদী এই চুক্তির আওতায় রয়েছে এশিয়া কাপের চারটি আসর। যার দুটি হবে ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। তাতে আয়োজক হিসেবে ভারত-পাকিস্তানের নাম বাতিলের খাতায় পড়তে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
সবশেষ এশিয়া কাপে আয়োজনে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব বেশ প্রভাব ফেলেছে বলেই এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে এসিসি। এমনিতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় হলো। দুই দলের সাক্ষাতের একমাত্র সুযোগ আইসিসি বা এসিসির কোনো আসর। ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে যাবে ভারত, এমন আশ্বাস দেওয়ায় গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান। এর আগে ভারত-পাকিস্তানের শীতল সম্পর্কের কারণে সবশেষ এশিয়া কাপেও প্রভাব পড়েছে। তাই ভবিষ্যতে এশিয়া কাপ দুই দেশের বাইরের ভেন্যুতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে।
এসিসি জানিয়েছে, বির্তক এড়াতে ভারত-পাকিস্তানকে রাখা হচ্ছে না স্বাগতিকদের তালিকায়। যার ফলে স্বাগতিকদের তালিকায় নাম এসেছে চার দেশের। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানে হওয়ার কথা রয়েছে পরের চার আসর। বিডে অংশ নিলে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে একক আয়োজক হওয়ার সুযোগ।
এশিয়া কাপের সামনের আসরগুলো থেকে বেশ ভালো অঙ্কের অর্থ আয়ের দিকে মনোযোগ দিয়েছে এশিয়ার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। এশিয়া কাপের পরের চারটি আসরের জন্য মিডিয়া স্বত্ব চুক্তি ছিল প্রায় ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবার তা আরও বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।