কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবারো ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ফেরি কদম রৌমারী থেকে চিলমারী দিকে রওনা করে। এসময় ফেরিটিতে ৭টি পরিবহন ছিল। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এই ফেরি ১০টি পরিবহন নিয়ে রৌমারী ছেড়ে যায়।
এর আগে, গত ১০ জানুয়ারি রৌমারী উপজেলার কুটিরচর এলাকায় পুরাতন একটি বক্স কালভার্ট ভেঙে গেলে বন্ধ হয়ে যায় এই নৌ রুটে ফেরি চলাচল। রৌমারী উপজেলার কুটিরচর সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ বক্স কালভার্টটি মেরামত হওয়ায় ঈদের আগেই ফেরি সার্ভিস চালুর কথা বলেছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কিন্তু, ঈদের পরে ফেরি চালু করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের আগে কালভার্টি মেরামত করা হলেও নৌঘাট ইজারা সিন্ডিকেটের কারণে চালু হয়নি ফেরি। ফেলে ঈদে ঘরে ফেরা ও ঈদের পর ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরা নৌপথের যাত্রীরা ফেরি সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নিবার্হী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, নৌ-বন্দরে ফেরি সার্ভিস যুক্ত হওয়ার পর থেকে নদী পারাপারে পরিবহন সেক্টরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। বিশেষ করে পণ্যবাহী পরিবহন। ছোট একটি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ফেরি সার্ভিস বন্ধ ছিল। কালভার্টের পাশে বাইপাস সড়ক করা যেত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আর্থিক সুবিধা নিয়েই চিলমারী বন্দরে ফেরি সার্ভিসে কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তারা পরিবহন সংকট ও নাব্যতা সংকট দেখিয়ে বন্ধ রেখেছিলেন ফেরি। এই সুযোগেই ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন ঘাট ইজারা কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, পারাপারের জন্য গাড়ি ঘাটে না আসায় ঈদের আগে ফেরি সার্ভিস চালু করা যায়নি। ঘাটে ৭টি পরিবহন পারাপারের জন্য আসায় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে ফেরি কদম রৌমারী ঘাট থেকে চিলমারী নদী বন্দরে আসে। বুধবার ১০টায় ফেরিটি ১০টি পরিবহন নিয়ে রৌমারী ছেড়ে যায় ওই ফেরিটি। পারাপারের জন্য গাড়ি আসলে ফেরি সার্ভিস নিয়মিত চালু থাকবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি যানবাহন চলাচলের সময় রৌমারীর কুটিরচর এলাকায় পুরাতন একটি বক্স কালভার্ট ভেঙে গেলে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।