তিন সংস্করণে দাপটের সঙ্গে খেলে যাচ্ছেন, এমন কোনো পেসারের নাম খুঁজতে গেলে আসবে একমাত্র শরিফুল ইসলামের নাম। ম্যাচের শুরুতে শরিফুলের তোপে বাংলাদেশ শিবিরে উল্লাস যেন নিয়মিত দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শরিফুলের বোলিং তোপে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে বড় জয় পায় আবাহনী লিমিটেড। এদিক শেখ জামাল মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয়। তাদের পতনের শুরুটা করেন এই শরিফুল, শেষ পর্যন্ত ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
মাস দেড়েক পর মাঠে গড়াবে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপ। এই সংস্করণে সাম্প্রতিক সময়ে ভালো খেলতে থাকা বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপকে ঘিরেও বুনছে স্বপ্ন। শরিফুলও এর ব্যতিক্রম নন। দুর্দান্ত বোলিং করতে থাকা এই পেসারের কাছে সবার প্রত্যাশাটা বেশি। সেটি নিজেও মনে করেন তিনি।
‘না, না (চাপ নিয়ে প্রশ্নে)। প্রেশার বলতে কিছু না এখানে। হয়তো সবার চাওয়াটা বেশি, আবার ওভাবে না হলেও কিছু করার নেই। আমি আমার দিক থেকে চেষ্টা করব, প্রতিটি খেলোয়াড়ই যার যার জায়গা থেকে চেষ্টা করবে হয়তো একদিন সাফল্য আসবে, একদিন আসবে না, সো এটা নিয়ে থাকতে হবে।’
ম্যাচ শেষে বিশ্বকাপ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের সামনে এমন মন্তব্য করেন শরিফুল। তার মনোযোগ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করায়, ‘অবশ্যই সবাই, পুরো দেশই তো চায় একটা ট্রফি জিততে। সো ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব যেন আমরা ভাল কিছু করতে পারি।’
চলতি বছর এখন পর্যন্ত তিন সংস্করণে ৭ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। এবারের বিপিএলে হয়েছেন সেরা উইকেট শিকারি। ১২ ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে নিয়েছেন ২২ উইকেট। সব মিলিয়ে তার উপর প্রত্যাশাটাও বেশি থাকবে।
নিজের বোলিং নিয়ে কাজ করে সাফল্য পাচ্ছেন জানিয়েছেন শরিফুল, ‘আমি মৌলিক কিছু কাজ করেছিলাম যেন ভিন্ন কিছু করতে পারি, যেমন ভেতরে আনা। সো এগুলো নিয়ে অনুশীলন করছিলাম, সাফল্য আসছে। আলহামদুলিল্লাহ।’
শরিফুল মনে করেন, মোস্তাফিজুর রহমান-তাসকিন আহমেদসহ বর্তমানে বাংলাদেশের পেসা আক্রমণ দুর্দান্ত। নিজেদের ফর্ম ধরে রেখে এক হয়ে বিশ্বকাপ মাতাতে চান তারা, ‘অবশ্যই আমাদের পেস ইউনিটটা ভালো। এখন আমরা সবাই শেপে আছি। এই শেপটা ধরে রাখার জন্য চেষ্টা করব বিশ্বকাপে যেন ভালো পারফর্ম হয়।’