চৈত্র শেষে বৈশাখ আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশে শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এ সময়ে অনলাইন ক্লাসের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা না থাকায় কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ থেকে বাসে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। আবার ক্যাম্পাসে এতো মানুষের চলাচলে বাড়তি গরমে অতিষ্ঠ তারা।
এদিকে করোনার কারণে বেশ কিছু বিভাগে সেশনজটের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ক্লাস পরীক্ষা একেবারে বন্ধ না করে, অনলাইনে চালু রাখতে। পাশাপাশি পরীক্ষা অব্যহত রাখার দাবিও জানান, যাতে নতুন করে সেশন জটের সৃষ্টি না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জায়েদ তালুকদার বলেন, দেশে শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। একইভাবে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহতেও তাপমাত্রা ৪০° ছাড়িয়েছে। এ তীব্র গরমে বাসে যাতায়াত করে নিয়মিত ক্লাসে করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তার মাঝে রয়েছে লোডশেডিং। গতকালও সারাদেশে পাঁচজন হিটস্ট্রোক করেছে। এমন তাপদাহ পরিস্থিতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হিটস্ট্রোকের প্রবণতা বেশি। এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলে ভালো হতো।
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিদিন তীব্র গরমে বাসা থেকে জ্যাম ঠেলে ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এই তীব্র তাপবদাহে অনলাইন ক্লাস চালু করার দাবি জানাচ্ছি। তবে পরীক্ষা চালু রাখা যেতে পারে। তা-না হলে সেশনজট হয়ে যাবে। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর কারণে এমিনতেই এক বছরের একটা জট আছে। এ অবস্থায় প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে যদি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা কোনোভাবেই শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত হবে না। আবার, প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে ক্লাস চালু রাখলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনলাইন ক্লাস এখন সময়ের দাবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই তীব্র তাপদাহের কারণে ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মনে করি তাদের সিদ্ধান্তের প্রতিফলন এখানেও ঘটবে। সে আলোকেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, তীব্র তাপদাহের কারণে ইতোমধ্যে সব স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য গাছপালা রয়েছে। এতে আমাদের উপর তাপের তীব্রতাও কম। আমাদের থেকেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তীব্র তাপদাহের মধ্যে আছে। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিদ্ধান্ত নিলে, আমরাও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।