বান্দরবানে ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা-থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা ও নিরাপত্তার কর্মীদের অস্ত্র লুটের পৃথক মামলায় কেএনএফ সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত ২ নারীসহ ৭ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে ৫ জনকে দুই দিনের ও ২ নারীকে কারাগারের ফটকে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, রুমার অস্ত্র লুটের মামলায় ৩ জন ও থানচি ব্যাংক ডাকাতি মামলায় ২ জনকে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। অন্যদিকে থানচি-রুমার একই মামলায় ২ নারীকে কারাগারের ফটকে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আদালত পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানচির ব্যাংক ডাকাতি মামলায় জেমিনি বম (২০), আসেলং বম (১৯), ভাননুম নুয়াম বম (২৩) ও রুমার অস্ত্র লুটের মামলায় লালরিন ত্লোয়াং বম (২০), ভান নুয়াম থাং বম (৩৭), ভান লাল থাং বম (৪৫) ও লাল লিয়া সিয়াং বম (৫৭) এর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে, বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত ৫৪ জনকে দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। একই দিনে এক নারীকে কারাগারের ফটকে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ডে আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।
গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।
যৌথ অভিযানে এ পর্যন্ত ২১জন নারীসহ ৬৬ জনকে থানচি ও রুমার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।