বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের প্রথম রাউন্ডে বোলাররা বাজিমাত করলেন। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যাচে বোলারদের ছন্দময় পারফরম্যান্সে স্রেফ দিশেহারা ব্যাটসম্যান।
আগে ব্যাটিং করতে নেমে শাইনপুকুর মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায়। ওই রান তাড়া করতে গিয়ে গাজী গ্রুপ ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি। ১৩ রানের জয়ে সুপার লিগ দারুণভাবে শুরু করলো টেবিলের দুই নম্বরে থাকা শাইনপুকুর।
দুই ইনিংস মিলিয়ে কোনো দলের ব্যাটসম্যান ফিফটি পাননি। শাইনপুকুরের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ৪২ রান করেন। এছাড়া গাজী গ্রুপের হাবিবুর রহমান সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। এছাড়া চল্লিশের ঘর পেরোনো কোনো ইনিংস নেই।
বোলারদের মধ্যে ভেল্কি দেখিয়েছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ৮ ওভারে ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া আরাফাত সানী ৩ ও হাসান মুরাদ ২ উইকেট পেয়েছেন। মূলত এই তিন স্পিনারের ঘূর্ণিতে শাইনপুকুর মাত্র ৪২ রানে ৭ উইকেট তুলে অপ্রত্যাশিত জয় তুলে নেয়।
লক্ষ্য তাড়ায় মেহেদী মারুফ ও হাবিবুর রহমানের ব্যাটে ভালো জবাব দিচ্ছিল গাজী গ্রুপ। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পর সব এলোমেলো। পরের আট ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল দুজন দুই অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করতে পারে। বাকিরা সিঙ্গেল ডিজিটে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা হাবিবুর ১৯ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ইনিংসটি সাজান।
এর আগে শাইনপুকুরের ইনিংসের লগাাম টেনে ধরেন পেসার আব্দুল গাফ্ফার সাকলায়েন ও স্পিনার হাবিব মেহেদী। দুজন ৩টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। এছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন জীবন।
শাইনপুকুরের হয়ে ৪২ রান করা তানজিদ শুরুটা ভালো করেছিলেন। কিন্তু তার ইনিংস থামিয়ে দেন হাবিব। ৫১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান তানজিদ। এছাড়া শেষ দিকে রিশাদ দলের চাহিদা পূরণ করে ২৬ বলে ৩৩ রান করেন। ১ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তার হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।