সমীকরণটা খুব সহজ ছিল। আবাহনীর আজ জিততেই হবে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে। তাহলেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা তাদের। আর হারলে অপেক্ষায় থাকতে হতো।
ফতুল্লায় সেই অপেক্ষা বাড়াননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা আবার ঘরে তুলল আবাহনী। যদিও এখনও বাকি আনুষ্ঠানিকতা। তাই গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১৭১ রানের জয়ের পরও কোনো উদযাপন নেই আকাশী-সাদা শিবিরে।
খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আবাহনী লিমিটেড ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করে। জবাবে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স গুটিয়ে যায় ১৭২ রানে। আবাহনী ম্যাচ জিতে নেয় বিশাল ব্যবধানে।
তাদের জয়ের নায়ক অধিনায়ক শান্ত। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মাত্র ৮৪ বলে ১০১ রান করেন ৮ চার ও ৬ ছক্কায়। ওপেনিংয়ে নাঈম শেখ ও লিটন কুমার দাশ ৩৩ রানের দুটি ইনিংস খেলেন।
চারে ব্যাটিংয়ে নেমে হতাশ করেননি এনামুল হক বিজয়। ৫১ বলে ৬৮ রান করেছেন ৪ চার ও ৫ ছক্কায়। ইনিংসের শেষ দিকে ঝড় তোলেন তাওহীদ ও মোসাদ্দেক। তাওহীদ ৪০ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৮ রান করেন। মোসাদ্দেক ১৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রানের ইনিংসটি সাজান।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ৫০ রানে ২ উইকেট নেন পারভেজ হোসেন জীবন। লক্ষ্য তাড়ায় রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিতে স্রেফ এলোমেলো গাজী গ্রুপের ব্যাটিং। বাঁহাতি স্পিনার ১০ ওভারে ১ মেডেনে ৪৪ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব ও মোসাদ্দেক হোসেন।
এই দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন সাব্বির হোসেন শিকদার। তার একার লড়াইয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স পরাজয়ের ব্যবধান কমায় মাত্র। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে হাবিবুর রহমানের ব্যাট থেকে।
১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সমান ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পয়েন্ট ২০। পরের তিন ম্যাচে তারা জিতলে এবং আবাহনী সবকটিতে হারলে দুই দলের পয়েন্ট হবে ২৬। তখন হেড টু হেড হিসেব আসবে। দুই দল একটি করে ম্যাচ জেতায় হেড টু হেডও সমান হবে। কিন্তু রান রেটে অনেক এগিয়ে আবাহনীর। তাইতো আবাহনীর শিরোপা পেতে নেই কোনো বাঁধা।
তবে আজ কোনো উৎসব হয়নি, আবাহনী-আবাহনী কোনো চিৎকারও হয়নি। সুপার লিগের শেষ ম্যাচ খেলেই শিরোপা উৎসবে করবেন তারা।
এদিকে আবাহনীর জার্সিতে ১২ বছর খেলায় ক্লাবের পক্ষ থেকে হ্যাট ও ব্লেজার পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসনে সৈকত।