শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ১৭ রান। হাতে ৪ উইকেট। ৪৯তম ওভারের প্রথম চার বলে ছয় রান নেয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। এরপরই বাঁধে বিপত্তি। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের দুই পেসার মুশফিক হাসান-আবু হায়দার রনির তোপে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় শাইনপুকুর।
৮ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় নিয়ে চলমান ঢাকা লিগের সুপার লিগে তিন রাউন্ডের প্রত্যেকটিতে শেষ হাসি হেসেছে সাদা-কালো ক্লাবটি। অন্যদিকে সমান রাউন্ডে শাইনপুকুরের এটি দ্বিতীয় হার।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫৫ রানে অলআউট হয় মোহামেডান। ৭০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ক্লাবটি। হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজ সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান।
এ ছাড়া আরিফুল হক ৪১ ও ইমরুল কায়েস ৩০ রান করেন। দুই ওপেনার রনি তালুকদার ১৩ ও হাবিবুর রহমান মুন্না ১২ রান করে মাঠ ছাড়েন। শেষ দিকে মাত্র ৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে এনে দেন নাসুম আহমেদ। শাইন পুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আরাফাত সানি।
তাড়া করতে নেমে শুরুতে জিশান আলম-অমিত হাসানের উইকেট হারায় শাইনপুকুর। নতুন ব্যাটার মার্শাল আইয়ুবকে নিয়ে হাল ধরেন খালিদ হাসান। দুজনের প্রতিরোধে ভালোভাবে এগোতে থাকে শাইনপুকুর। ৪৮ রানে খালিদ আউট হলে ভাঙে ৯১ রানের জুটি।
খালিদ ফিফটি না পেলেও মার্শাল ফিফটি করে এগোতে থাকেন। তবে ৭০ রানের বেশি করতে পারেনি। এবার হাল ধরেন আকবর আলী-ইরফান শুক্কুর। ইরফান ৩৮ রানে ফিরলেও আকবর ফিফটি করে এগোতে থাকেন। কিন্তু দলকে জয়ের কাছে নিয়েও জয় এনে দিতে পারেননি আকবর। দলীয় ২৪৫ রানে ৬১ করে ফেরেন এই ব্যাটার। তার আউটের পর শেষ চার ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেনি।
মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আবু হায়দার। ৩ উইকেট নেন মুশফিক হাসান। ফিফটির সঙ্গে ১ উইকেট মিয়ে ম্যাচসেরা হন মিরাজ।