সরকারি মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) থেকে স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ১০৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোনো নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ ওঠেছে। চাকরিচ্যুতরা পুনরায় তাদের বহালের দাবি জানান। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বুধবার (১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুতরা জানান, ইডকল একটি সরকারি মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের রিনিউইয়েবল এনার্জি সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময়ে অনেক কর্মী নিয়োগ দিয়ে আসছে যারা সারা দেশে ইডকলের বিভিন্ন রিজিওনাল অফিসে কর্মরত আছেন। বিভিন্ন রিজিওনাল অফিস ও হেড অফিস মিলিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
তারা বলেন, মহান মে দিবসের ঠিক আগের দিন কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষিত নোটিশ ছাড়াই ইডকল ম্যানেজমেন্ট স্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত ১০৬ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে। মহান যে দিবস যেখানে বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের আধিকার প্রতিষ্ঠার এক উজ্জল উদহারণ সেখানে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের জন্য কি কোনো অশনি সংকেত নয়? এক্ষেত্রে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তারা আশা করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাপারে ছাঁটাইকৃত কর্মীদের পাশে দাঁড়াবে।
চাকরিচ্যুতদের একজন হাবিবুল্লাহ লিটন বলেন, পরিবারের ৭ জন লোক আমার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। সেই মানুষটা আমি চাকরিচ্যুত। এখন কীভাবে সংসার চলবে। চাকরিচ্যুত ১০৬ কর্মীকে পুনরায় বহালের দাবি জানান তিনি।