সারা বাংলা

হল ছাড়তে চান না কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের কারণে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের হল ছাড়তে বলা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর ক্যাম্পাসজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। হল ছাড়তে চান না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১ মে) সকাল ১১টায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে অংশে নেওয়া নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফ হাসান বলেন, আমরা হল ছেড়ে কোথায় যাবো না। ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করতে হবে। ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমরা কেনে বলির পাঁঠা হবো? আমরা এসব নাটকের প্রতিকার চাই। 

নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মুহসীন জামিল বলেন, ঈদের পর পর ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে আমাদের ক্যাম্পাস কেন বন্ধ হবে? আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করি। হল বন্ধ হলে আমরা কোথায় থাকব? আমরা হল ছাড়ব না। 

সিন্ডিকেট সূত্র জানিয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি কমিটি গঠন করা হবে। একটি শিক্ষকদের দাবিগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করবে। অন্যটি ২৮ এপ্রিলের ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করবে। 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেছেন, ভিসি ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য সিন্ডিকেট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্কট নিরসনের জন্য জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান বলেন, উপাচার্য নিজেই যখন সন্ত্রাসী, তখন প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার দয়া-মায়া থাকে না৷ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন তার বিরুদ্ধে গেছে, তখন তার নৈতিকভাবে কোনো অবস্থান থাকে না। তার প্রশাসনের সকল কর্মীই পদত্যাগ করেছেন। এখন তিনি বুঝতে পেরেছেন, তার পতন শুধুই সময়ের ব্যাপার৷ তাই, তিনি সময়ক্ষেপণের অপচেষ্টা করছেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আমার কিছু করার নেই।