আন্তর্জাতিক

এবার কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জানিয়েছেন। 

কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টো, ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং ইউনিভার্সিটি অব অটোয়াতে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের অনুরূপ তাবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোর শিক্ষার্থীরা ডাউনটাউন ক্যাম্পাসের ঘাসযুক্ত জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। সেখানে প্রায় ১০০ জন বিক্ষোভকারী কয়েক ডজন তাঁবু নিয়ে জড়ো হয়েছে।

কুইবেকের প্রিমিয়ার ফ্রাঁসোয়া লেগল্ট বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়েছেন, ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পটি ভেঙে ফেলা উচিত। কারণ বেশি বেশি শিক্ষার্থী কানাডার কয়েকটি বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনিপন্থী ক্যাম্প তৈরি করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে সরাতে এখনও পুলিশ হস্তক্ষেপ করেনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের প্রতিবাদে শত শত মানুষ শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটিতে সমাবেশ করেছে। ফিলিস্তিনিপন্থি কর্মীরা গত সপ্তাহে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হলের বাইরে একটি ছাউনি স্থাপন করেছিল। মেলবোর্ন ও  ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুরূপ শিবির গড়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা ইউনিভার্সিটি অব সিডনিকে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার দাবিতে সমাবেশ করেছে।

সমাবেশে যোগদানকারী ৩৯ বছর বয়সী ম্যাট জানান, তিনি গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে কেবল ছাত্ররাই যে ক্ষুব্ধ নয় তা দেখাতে এসেছেন।

তিনি বলেন, ‘আপনি যখন বুঝতে পেরেছেন কী ঘটছে তখন এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে, সচেতনতা বাড়াতে এবং সংহতি দেখানোর দায়িত্ব চলে আসে আপনার ওপর।’

প্রসঙ্গত, গাজার যুদ্ধ থেকে লাভবান হওয়া ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্নের দাবিতে ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু হয়। মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউসিএলএ) ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিন সমর্থক ও ইসরায়েল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে পুলিশ এ পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করেছে।