খেলাধুলা

ধস সামলে ১২৫ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে

দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশের বোলারদের তোপে চোখের পলকে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার-মিডল অর্ডার ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ৫০ রানের আগেই অলআউটের শঙ্কা জাগে। তবে সেটা হয়নি মাদান্তে-মাসাকাদজার কল্যাণে।  

চট্টগ্রামে শুক্রবার (০৩ মে, ২০২৪) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১২৪ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। অষ্টম উইকেটে মাদান্তে-মাসাকাদজার ৭৫ রানের জুটিতে এই রান করতে পারে সফরকারী দলটি। 

৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর দুজনে জুটি গড়েন। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে মাদান্তের ব্যাট থেকে। ৩৯ বলে ৬টি চারের মারে এই রান করেন তিনি। 

ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন মাসাকাদজা। তিনি ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন। তার ইনিংসে দুটি করে ছয়-চারের মার রয়েছে। এ ছাড়া বিশের বেশি কোনো ব্যাটার রান করতে পারেননি।

ইনিংসের শুরুতে ক্রেইগ আরভিনকে দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করে মাহেদী হাসান এনে দেন প্রথম সাফল্য। আরভিন ফিরলে রানের গতি যেন আরও বাড়ে। বেনেটকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকনে জয়লর্ড গাম্বি। দুজনে ২৮ রানের জুটি গড়েন। শরিফুলকে টানা তিন চার মারেন বেনেট। 

১৪ বলে ১৭ রান করা গাম্বিকে ফেরান সাইফউদ্দিন নিজের প্রথম ওভারে। তার আউটের পর শুরু হয় উইকেটের মিছিল। ১৬ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন বেনেট। দলীয় ৩৬ রান থেকে ৩৮ রানের মধ্যে দলটি হারায় পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। 

হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন তাসকিন। শূন্যরানে পরপর ফেরান শেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। সাইফউদ্দিনের শিকার হন লুক জংওয়ের ফেরার পর প্রতিরোধ গড়েন মাদান্তে-মাসাকাদজা। 

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন তাসকিন-সাইফউদ্দিন। দুজনেই কৃপণ বোলিং করেন। তাসকিন ১৪ ও সাইফউদ্দিন ১৫ রান দেন। মাহেদী হাসান নেন ২ উইকেট। উইকেটশূন্য ছিলেন শরিফুল-রিশাদ হোসেন।