সুন্দরবনে লাগা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার মধ্যে ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যার আগ-মুহূর্তে সুন্দরবনের আমরবুনিয়া এলাকাসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। কখনও থেমে থেমে, কখনও মুষল ধারায় বৃষ্টি হয়।
বাগেরহাটের কচুয়া, সদর, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। হঠাৎ শুরু হওয়া এ বৃষ্টি সুন্দরবনের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছে বনবিভাগ।
শনিবার (০৪ মে) বিকেলে সুন্দরবনের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগার খবর পায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ। খবর পাওয়ার পর বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। এ দিন সন্ধ্যা নামায় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা শুরু করতে পারেনি বন বিভাগ। রোববার (৫ মে) সকালে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট আগুন নির্বাপন শুরু করে। এতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছিল না।
সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে সবার সম্মিলিত চেষ্টায় জোরেসোরে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। দুপুর নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস ও বনবিভাগ। তবে পুরোপুরি নিভে যায়নি। এরমধ্যে সন্ধ্যার আগ-মুহূর্তে ঝুম বৃষ্টি নামে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, ‘আগুন জ্বলতে থাকা সুন্দরবনের জন্য বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। বৃষ্টির মধ্যেও আমরা বনে ছিলাম। আগুন নির্বাপনে অংশ নেওয়া বনরক্ষী ও বনকর্মীরা এখন আমরবুনিয়া ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বনের মধ্যে এখন আর আগুন নেই। এরপরও বন বিভাগের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় বিশেষ নজর রাখা হবে।’