প্রথম লেগে হারের পরও প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) সমর্থকেরা আশায় বুক বেঁধে ছিলেন। কেননা ঘরের মাঠে পিএসজির ঘুরে দাঁড়ানোর নজির আছে ঢের। তবে সেসবের কিছুই হলো না। পিএসজি সমর্থকদের আরও একবার হতাশা উপহার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। দ্বিতীয় লেগে ফরাসি ক্লাবটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মাটস হুমেলসের একমাত্র গোলে জিতেছে ডর্টমুন্ড। প্রথম লেগে ঘরের মাঠেও একই ব্যবধানে জিতে জার্মান দলটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলের অগ্রগামিতায় এক দশকেরও বেশি সময় পর শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
ডর্টমুন্ড সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিল ২০১৩ সালে। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় নিজেদের একমাত্র শিরোপাটি তারা জিতেছিল ১৯৯৭ সালে। সেবার ফাইনালে তারা হারিয়েছিল ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসকে। দ্বিতীয় শিরোপার লক্ষ্যে আগামী ১ জুন ওয়েম্বলিতে বায়ার্ন অথবা রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে ডর্টমুন্ড।
পার্ক দিস প্রিন্সেসে ম্যাচের শুরুতে পানসে ছিল দুই দলই। তবে ম্যাচের প্রথম আক্রমণটা করে ডর্টমুন্ড। তৃতীয় মিনিটে প্রথম লেগের একমাত্র গোলদাতা নিকলাস ফুয়েলখুগের হেড অনায়াসে ঠেকান জানলুইজি দোন্নারুম্মা। পরের মিনিটে গনজালো রামোসের প্রচেষ্টা সহজেই ঠেকান ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল।
এরপর প্রথমার্ধে আর তেমন গোলের সুযোগ তৈরী করতে পারেনি দুই দলের কেউ। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে এমবাপ্পের গোলের উদ্দেশে নেওয়া শটে আটকে দেন রামোস। এর মিনিট তিনেক পরই গোল পেয়ে যায় ডর্টমুন্ড। সতীর্থের কর্নারে হেডে গোল করে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে নেন জার্মান ডিফেন্ডার হুমেলস।
গোল খেয়ে পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে পিএসজি। তবে ৬২তম মিনিটে দুর্ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি দলটি। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নুনো মেন্দেসের জোরাল শট পোস্টে লাগে।৬৫তম মিনিটে উসমান দেম্বেলে ফাউলের শিকার হলে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় পিএসজি। মার্কো আসেন্সিওর শট প্রতিহত হয় রক্ষণ দেয়ালে।
এভাবেই পার হয় ম্যাচের বাকি সময়। শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে মেতে ওঠেন ডর্টমুন্ড সমর্থকরা। আজ আরেক সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বায়ার্নের মুখোমুখি হবে রিয়াল। প্রথম লেগে ২-২ ড্র হয়েছিল।