সারা বাংলা

আসিম জাওয়াদ বিমানবাহিনীর অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মানিকগঞ্জের বাসায় শোকের মাতম চলছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলাশহরের বহুতল ভবনের ছয় তলায় ফ্ল্যাটে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। 

নিহত আসিম জাওয়াদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার বাবা ডা. আমান উল্লাহ। মা নিলুফা আক্তার খানম। মা সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ছিলেন। এখন অবসরে গেছেন। তারা জেলাশহরের গোল্ডেন টাওয়ারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। আসিম জাওয়াদ চাকরিসূত্রে স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন। অন্তরা আক্তার নারায়ণগঞ্জে মেয়ে। 

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

বেলা পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা দুই পাইলট প্যারাসুট দিয়ে নেমে আসেন। ফায়ার সার্ভিস ও বিমানবাহিনীর নিজস্ব ইউনিটের সদস্যরা তাদের কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ মারা যান। 

ছেলের মৃত্যুর সংবাদে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা আক্তার

নিহত আসিম জাওয়াদের মামা মানিকগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক সুরুষ খান বলেন, আসিম জাওয়াদ চৌকস অফিসার ছিলেন। তিনি ছোট বেলা থেকে বিমানবাহিনীর অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। জাওয়াদ খুব মেধাবী ছাত্র ছিল।

তিনি জানান, আসিম জাওয়াদ স্ত্রী অন্তরা আক্তার, ছয় বছরের মেয়ে আয়জা ও এক বছরের ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রামে থাকতেন।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানের এক পাইলটের মৃত্যু

নিহত জাওয়াদের খালাত ভাই মশিউর রহমান শিমুল বলেন, সকালে তারা জানতে পারেন, চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকে তারা খোঁজ নিতে থাকেন। দুপুর ১২টার দিকে খবর পান, আসিম জাওয়াদ মারা গেছেন। তার বাবা চট্টগ্রামে উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। 

শিমুল বলেন, ‘ছাত্রজীবনে জাওয়াদ কখনও দ্বিতীয় হননি। আজকে বিমান দুর্ঘটনার দেশ একজন মেধাবী সন্তান হারাল।’