ছুটির দিন বলে কথা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই মিরপুর শের-ই-বাংলায়। হতাশ করেননি নতুন ওপেনিং জুটি তানজীদ হাসান তামিম-সৌম্য সরকার। ১১ ওভার দারুণ বাহারি সব শটে দর্শকদের আনন্দ দিয়ে গেছেন দুজনে। কিন্তু ওপেনিং জুটির ভাঙার পর যা হয়েছে তা ভুলে যেতে চাইবেন দর্শকরা, খোদ ক্রিকেটাররাও।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার (১০ মে, ২০২৪) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। অথচ শুরুটা কি সুন্দরই না ছিল! ১১ ওভারে, ১০০। পাওয়ার প্লেতে ৫৭! ওপেনার তানজীদের বিদায়ের ছন্দপতনের শুরু। দলীয় সংগ্রহে মাত্র ৪২ রান যোগ করতে বাংলাদেশ ১০টি উইকেট হারায়।
বিশেষ করে ১২১ রানে তাওহীদ হৃদয়ের (১২) বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ এলোমেলো হয়ে যায়। এরপর ৯ রানের মধ্যে বাংলাদেশ নাজমুল হোসেন শান্ত (২), সাকিব আল হাসান (১) ও জাকের আলী অনিকের (৭) উইকেট হারায়।
অনিকের আউটের পর স্বীকৃত কোনো ব্যাটার ছিল না। রিশাদ হোসেনও আজ পারেননি। ২ রানে ফেরেন তিনি। তাসকিন আহমেদ হন রান আউট।
অথচ তানজীদ-সৌম্য জুটি শুরু থেকে খেলছেন দুর্দান্ত। পাওয়ার প্লে’তে দুজনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করে যান। চলতি সিরিজে এর আগে সর্বোচ্চ আসে ৪২ রান। দুজনের জুটি থেকে আসে ১০১ রান। টি-টোয়েন্টিতে অষ্টমবারের মতো যেকোনো উইকেটে বাংলাদেশ শতরানের জুটি পার হয়। কিন্তু সেই ধারা ধরে রাখতে পারেননি পরের ব্যাটাররা।
তানজীদ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ম্যাচে এসে দ্বিতীয় ফিফটির দেখা পান। মাত্র ৩৪ বলে ৭টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ফিফটি করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করে আউট হন।
তার আউটের ৭ রানের মধ্যে সৌম্যও ফেরেন সাজঘরে ফেরেন। ৩৪ বলে ৪১ রান আসে সৌম্যর ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের ৭ ব্যাটার দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন লুক জংওয়ে। ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগ্রাভা ও ব্রায়ান বেনেট।