লাইফস্টাইল

যারা ৪০ বছর বয়সে গর্ভধারণ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য গাইডলাইন

নারীদের ১৮ বছর বয়স থেকে ৩৫ বছর বয়সের মধ্যে গর্ভধারণের সম্ভবনা একটু বেশি থাকে। সে কারণে এই বয়সের মধ্যে গর্ভধারণ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু চল্লিশ বছরে যারা পৌঁছে গেছেন এবং গর্ভধারণ করতে চাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি গর্ভধারণের সম্ভাবনাও কমতে থাকে। 

আরিফা জামানের (ছদ্মনাম) বিয়ে হয়েছে ত্রিশ বছর বয়সে। মাল্টি ন্যাশনাল একটি কোম্পানিতে চাকরি করছেন তিনি। বিয়ের পর ক্যারিয়ারটা আরেকটু পাকাপোক্ত করার জন্য সন্তান  গ্রহণ করেননি। বিয়ের পাঁচ বছর পর থেকে সন্তান গ্রহণের চেষ্টা করছেন কিন্তু হচ্ছে না। তার বয়স প্রায় চল্লিশে পৌঁছে যাচ্ছে। 

২৮ বছর বয়সে তামান্না আক্তারের (ছদ্মনাম) বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু এর কয়েক মাসের মধ্যেই বিয়েটা ভেঙে যায়। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে। এখন সন্তান গ্রহণ করার জন্য পরিবারের সদস্যরা চাপ দিচ্ছেন তাকে। তামান্না ভাবছেন এই বয়সে সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

প্রসূতি, গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ ও ল্যাপরোস্কোপিক সার্জন ডা. নাজিয়া সুলতানা বলেন ‘মেয়েদের যে ডিম্বাণু আছে, সেটা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট সংখ্যায় থাকে। প্রতি মাসে মাসিক হওয়ার মাধ্যমে এক গুচ্ছ করে ডিম্বাণু খরচ হতে থাকে। এভাবে চল্লিশের কাছে এসে ডিম্বাণুর সংখ্যা কমে যায়, কিন্তু শেষ হয়ে যায় না বা ফুরিয়ে যায় না। সুস্থ সন্তান জন্মদানের জন্য প্রয়োজন সুস্থ ডিম্বাণু এবং সুস্থ শুক্রাণু। যদি একজন নারীর স্বাভাবিক ওজন, ভালো খাদ্যাভাস, সুস্থ জীবন যাপনে অভ্যস্ত থাকেন তাহলে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে ভালো।’  

নাজিয়া সুলতানা আরও বলেন, Anti Mullerian Hormone একটি টেস্ট আছে, যেটার মাধ্যমে চিকিৎসকেরা দেখেন যে ডিমের সংখ্যা কত আছে। এএমএইচ সংখ্যা যদি ভালো থাকে তাহলে চিকিৎসকেরা প্রাকৃতিকভাবে সন্তান গ্রহণের পরামর্শ দেন। এএমএইচ-এর সংখ্যা যদি কম থাকে সেক্ষেত্রে আরও অ্যাডভান্সড পদ্ধতি  Intrauterine insemination (IUI), In vitro tertilisation (IVF) পদ্ধতি গ্রহণের কথা বলা হয়।