‘বিশ্বকাপের আগে এমন হার কি দরকার ছিল?’ নাজমুল হোসেন শান্তর কোর্টে এমন প্রশ্ন যাওয়া মাত্রই অধিনায়কের অকপট উত্তর, ‘হার দরকার ছিল না। আমরা প্রতি ম্যাচেই সিরিয়াস ছিলাম। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যে কয়েকটা ম্যাচ খেললাম সবগুলোতেই সিরিয়াস ছিলাম। কোনো ম্যাচ হারতে চাইনি। হারাটা দরকার ছিল না। ম্যাচ জিতলে ভালো লাগে। আজকেও হারতে চাইনি। ক্রেডিট দিতে হবে জিম্বাবুয়েকে। তারা ভালো ক্রিকেট খেলেছে।’
বিশ্বকাপের ঠিক আগে রোববার জিম্বাবুয়ের কাছে ৮ উইকেটের বিব্রতকর হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই শান্তর কাছে। তবে এই হারকে বড় করে দেখতে নারাজ অধিনায়ক। কারণ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া সিরিজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ছোট ছোট জিনিস বাজিয়ে দেখেছে। ঠিক যেভাবে ফল পেতে চেয়েছিল, সেভাবে না হলেও ‘কিছু কিছু’ জায়গায় ফল পাওয়ায় খুশি অধিনায়ক।
শান্ত বলেছেন, ‘আমার মনে হয় খুব ভালো একটি সিরিজ গেছে। সিরিজ জিতলে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। উন্নতির জায়গা যেটা বললেন, আমরা যে যে এক্সপেরিমেন্ট করেছিলাম, যে যে জিনিসগুলো দেখার প্রয়োজন ছিল সেগুলো কিছু কিছু হয়েছে। অবশ্যই অনেক ইতিবাচক দিক আছে। আমরা যে যে জিনিস আশা করেছিলাম অলমোস্ট আমরা ওই জিনিসগুলোর কাছাকাছি যেতে পেরেছি।’
সেই ‘কিছু কিছু’ উন্নতি কোথায় হয়েছে? নির্দিষ্ট করে শান্ত সেসবও বললেন, ‘স্পিনাররা খুব ভালো বল করেছে। বিশেষ করে রিশাদ ভালো বল করেছে। শেখ মাহেদীও ভালো করেছে। মাঝে ওকে ব্রেক দিয়ে তানভীরকে খেলানো হয়েছিল। ও ভালো বল করেছে। এই জিনিসগুলো ভালো ছিল।’
‘জাকের আলীর আজকের ইনিংস বা আগের আরেকটি ইনিংস ভালো ছিল। ও চেষ্টা করেছে যতটুকু ও জানে। এরকম ছোট ছোট বেশ কিছু জিনিস আছে যেগুলোতে আমরা কাছাকাছি যেতে পেরেছি। কিন্তু এখানে আরও উন্নতির জায়গা আছে। খেলোয়াড়রা সবাই আত্মবিশ্বাসী। উইকেট যেটা আমি বললাম পুরো সিরিজেই উইকেট ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি ছিল না। ব্যাটসম্যানরা ওর মধ্য দিয়ে চেষ্টা করেছে ভালো করার। উইকেট এসেস করে ব্যাটিং করার।’
সঙ্গে ক্লোজ কয়েকটি ম্যাচ জেতায় তৃপ্ত শান্ত, ‘কয়েকটা ক্লোজ ম্যাচ আমরা জিতেছি যেটা আমাদের দরকার ছিল। সামনে যে সিরিজ বা টুর্নামেন্ট আছে এ ধরণের ম্যাচ কিন্তু আসবে। ওই সময়ে আমরা পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তবায়ন করবো, বোলাররা কিভাবে এক্সিকিউট করবে, ওই সময়ে আমরা বোলাররা কতটা টার্ন পাচ্ছি…এই ক্লোজ ম্যাচ আমরা যেভাবে খেলেছি, বলা যেতে পারে একটা সময়ে ওদের হাতেই ম্যাচটা ছিল। সেখান থেকে ম্যাচ নিয়ে আসতে পেরেছি। এটা একটা ইতিবাচক দিক। যেটা আমাদের কাজে দেবে সামনের টুর্নামেন্টে।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রাপ্তির খাতায় চার জয়ের সঙ্গে ছোট-বড় অর্জন যুক্ত হয়েছে। তবে বিশ্বকাপের আগে একটি পরাজয় বড় ধাক্কা হয়ে গেল কিনা সেটাই বিরাট প্রশ্নের।