নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমের দোয়াত-কলম প্রতীকের ভোট করায় এমপি’র ছেলে সাবাব চৌধুরীর লোকজন এ হামলা করে।
রোববার (১২ মে) নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এমন অভিযোগ করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সদ্য শেষ হওয়া সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত-কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, গত ৮ মে অনুষ্ঠিত সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেয় আনারস প্রতীকের কর্মীরা। কুপিয়ে আহত করে দোয়াত-কলমের কর্মীদের। সন্ধ্যায় চারটি কেন্দ্রের ভোট উলটপালটও করা হয়। চর মহিউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মহিউদ্দিন এনএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখে পুনরায় ভোট দেওয়া এবং বাতিল হওয়া ১৯১৪টি ভোট পুনরায় গণনা করার পর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনি ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন সুবর্ণচরের বিভিন্ন উপজেলায় হামলা চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে চরজব্বার ইউনিয়নে। সেখানকার চাউয়াখালী বাজারে অন্তত ১৫টি দোকানপাট, আশপাশের অন্তত ২০টি বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এসময় পিটিয়ে আহত করা হয় অর্ধশত কর্মী ও তাদের স্বজনদের। বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনার একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়।
অভিযোগকারীরা ঘটনার বিষয় খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।