কুড়িগ্রামে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় একটি বিদ্যালয় থেকে পাস করেনি কেউ। বিদ্যালয়টির নাম পূর্ব সুখাতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এটি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় অবস্থিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বছর বিদ্যালয়টি ৫ জন শিক্ষার্থী মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছে। পূর্ব সুখাতী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল ওহাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাল্যবিবাহ এবং করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এমনটা না হয় সেজন্য সচেতন থাকব।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০১০ সালে জুনিয়র পর্যায়ের (অষ্টম শ্রেণি) পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয় প্রতিষ্ঠানটি। ২০১২ সালের পরে নবম-দশম শ্রেণির পাঠদান পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়।
গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় ৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫ জন পাশ করে। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২০৬ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মোট শিক্ষক রয়েছেন ৮ জন। আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষার জন্য ৯ম শ্রেণিতে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে।
এ বছর কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ২২ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছে ১৬ হাজার ৪৫৫ জন। মোট পাশের হার ৭৩ দশমিক ২৮ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৯১ জন।
কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামছুল আলম শতভাগ ফেলের বিষয়ে বলেন, এসব স্কুলের বেতন বন্ধ হওয়া দরকার। প্রধান শিক্ষকরা নিজেদের মতো প্রতিষ্ঠান চালায়। করোনাকাল শেষ হওয়ার ৩ বছর পরেও করোনার দোহাই দেওয়া অযৌক্তিক।