এসএসসির ফলাফলে পাসের হারের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেরা দশে অবস্থান করতে পারেনি একসময়ের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান কাজী কমর উদ্দিন (কে.কে.) গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউশন।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অবহেলা ও শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদানের অবহেলার কারণে এমন রেজাল্ট হয়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
খালেদা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, শহরের কাজী কমর উদ্দিন (কে.কে.) গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউশনের বর্তমান প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা এসএসসি পরীক্ষার আগে সম্পুর্ণ উদাসীন ছিলেন। বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়ম, ছাত্রদের ক্লাস না নেওয়া- এসব কারণে ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলের রেজাল্ট এবার এতো খারাপ হয়েছে।
অন্যদিকে, আলোচিত আরেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভ. গার্লস হাই স্কুলের (এভিজেএম) অবস্থান সেরা দশে চতুর্থতম। এভিজেএম এর তুলনায় জিপিএ-৫ অর্জনেও পিছিয়ে আছে কে.কে.গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউশন।
মুন্সীগঞ্জে এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারী সেরা ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে রিকাবী বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন। পাসের হার ৯৬%।
২য় অবস্থানে রয়েছে বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৯৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন। পাসের হার-৯৫.১৭%।
৩য় অবস্থানে বানিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৯৪.৩২%।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে এভিজেএম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৭৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩৪৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৪ জন। পাসের হার ৯২%।
৫ম অবস্থানে মিরকাদিম হাজ্বী আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার ৯১.৮০%।
৬ষ্ঠ অবস্থানে প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২১৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২০১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭জন। পাসের হার ৯১.৭৮%।
সপ্তম অবস্থানে বছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার ৯১.৬৭%।
অষ্টম অবস্থানে শহিদ জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৮৯.০৪%।
নবম অবস্থানে নৈরপুকুরপাড় মিঞাবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৮৮.৮৯%।
দশম অবস্থানে রিকাবী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়। পাসের হার- ৮৭.১০%।
এরপর যথাক্রমে ১১. চম্পাতলা উচ্চ বিদ্যালয়, ১২. বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়, ১৩. পঞ্চসার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, ১৪. সুখবাসপুর শ্যামলনী উচ্চ বিদ্যালয়, ১৫. মুন্সিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৬ নম্বরে রয়েছে কে.কে. গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউশন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৪১৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৩২২ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন। পাসের হার ৭৭.২২%।
১৭. মাকহাটি জে সি উচ্চ বিদ্যালয়, ১৮. বজ্রযোগিনী জে.কে উচ্চ বিদ্যালয়, ১৯. শিলয় হাজী মনির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ২০. রামপাল এনবিএম উচ্চ বিদ্যালয়, ২১. মো. আমিরুল হক পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২২. আলহাজ্ব এম.এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়, ২৩. দক্ষিণ চর মশুরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, ২৪. ফুলতলা মোহাম্মদীয় উচ্চ বিদ্যালয়, ২৫. রণছ রোহিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ২৬. মহাকালী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, ২৭. সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ২৮. মুন্সিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ২৯. ইদ্রাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ৩০. জাজিরা সৈয়দপুর আলহাজ্ব এম এ কাসেম উচ্চ বিদ্যালয়।