বিয়ের সম্পর্কটা তৈরি হয় কয়েকটি শর্ত পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। নিকাহনামায় কিছু শর্ত দেওয়া থাকে, সেসব মেনে নিয়ে বর কনে স্বাক্ষর করে থাকেন। সুতরাং দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে প্রতিশ্রুতি বা শর্ত রক্ষা।
ক্লিনিক্যাল সাইক্লোজিস্ট ডা. ফারাহ দীবা বলেন, নিকাহনামা না পড়েই অনেকে স্বাক্ষর করে দেন। দেখা যায় যে, প্রতিশ্রুতি রাখতে পারবেন কিনা, সেটা না জেনেই স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন। প্রতিশ্রুতিগুলো আমাদের ভালোভাবে বোঝা উচিত। এবং পূরণ করা উচিত। প্রতিশ্রুতির ধরন হচ্ছে ব্যক্তি তার করা প্রতিশ্রুতিগুলো দিনে দিনে এবং ধীরে ধীরে পূরণ করবেন।
ফারাহ দীবা আরও বলেন, দাম্পত্যে বিশ্বাস ভঙ্গ করা একটা বড় বিরূপ প্রভাব ফেলে। যেমন একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কথা দিলেন যে তিনি আর মাদক সেবন করবেন না। কিন্তু এরপর আবার মাদক সেবন করলেন। এতে দাম্পত্যে অবিশ্বাস বেড়ে যায়। দাম্পত্য সম্পর্কে বিশ্বাস ফেরানোর জন্য একে অপরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। যেমন আমরা কখন কে কোথায় আছি এই বিষয়গুলো একজন আরেকজনকে জানাতে হবে। আমরা যখন সঠিক তথ্য দেই না তখনই অবিশ্বাসের জায়গাটা তৈরি হয়।
কাজের জন্য একজন যখন বাইরে যান নিশ্চিত সময়টা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আরেকজনের দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে। তখন সঙ্গীকে সঠিক কারণ জানাতে হবে। সন্দেহজনক জায়গাগুলো তৈরি হতে দেওয়া যাবে না। এতে দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে।
প্রতিশ্রুতি রক্ষার ক্ষেত্রে একটি সূত্র মানতে পারেন, ধরুন আপনার কাছে একজন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। আপনি তার কাছে কী কী আশা করেন। তার একটি তালিকা তৈরি করুন। এবার আপনি নিজে যখন কারও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে চাইছেন এবং বিশ্বাস অর্জন করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়গুলো মেনে চলতে শুরু করতে পারেন।
শেষ কথা, দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট করতে না চাইলে একে অপরের সঙ্গে দায়িত্বশীল আচরণ করা জরুরি।