সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ফর্মুলা ছাড়া বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে ১২টি জাতীয় নির্বাচন নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। যারা হেরে গেছে তারাই, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। বরং হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেওয়া ফর্মুলা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় পার্টিতে যোগদানকারী নেতাদেরকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা শেখ রুনার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপির হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টি যোগ দেন। যোগদানকারীরা হলেন-পেশাজীবী মো. রুহুল আমিন, মো. নজরুল ইসলাম, মো. ইয়াসির আরাফাত, মো. তামিম বীন সিদ্দিক, মো. অসিন, মো. মিজানুর রহমান।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ফর্মূলা অনুযায়ী ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। যে দল যতভাগ ভোট পারে তারা শতকরা ততভাগ এমপি পাবে। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় জাল ভোট দেওয়া যায়, কারচুপি করা যায়। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আনুপাতিক হারে নির্বাচন চায় না।
নির্বাচন কমিশন দাবি করে তারা স্বাধীন। আসলে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা নেই জানিয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, আইনে লেখা আছে নির্বাচনকালীন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব নির্বাচন কমিশনের কথা মানতে বাধ্য। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কথা না শুনলে কি হবে তা লেখা নেই। তাই নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।
‘জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ক্ষমতায় এসে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাই তারা নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিতে চায় না,’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চুন্নু বলেন, বিএনপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলো। আর আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থার ফাঁক-ফোঁকর কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকতেছে। নির্বাচন ফেয়ার করতে হলে নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের হাজার কোটি টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুর, কানাডা, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে সম্পদ করছে একটি গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না। লাইসেন্সবিহীন চালকরা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালাচ্ছে তাই সড়কে দুর্ঘটনা কমছে না বলেও জানান চুন্নু।
এ সময় জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সদস্য মুহিত হাওলাদার, মো. সামছুল হুদা, হুমায়ুন কবির শাওন, আলতাফ হোসেন মণ্ডল, সোহেল রহমান, নাজমুল হাসান রেজা।