চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত ৬ দিনে ভারত থেকে পেঁয়াজ এসেছে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সমির ঘোষ। এদিকে, ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় ৪ মে। ৪০ শতাংশ শুল্ক থাকায় আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে গত ৯ তারিখ থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।
আসাদুল ইসলাম নামে এক আমদানিকারক বলেন, ‘ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পরপরই পেঁয়াজ আমদানিকারকরা এলসি খোলাসহ সব ধরনের কার্যক্রম শেষ করে। তবে ভারত সরকার রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ আরোপ করায় আমদানি পেঁয়াজের দাম পড়ছে কেজি প্রতি ৬৫-৭০ টাকা। কিন্তু দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় পেঁয়াজ আমদানি করে কোনো লাভই হবে না।’
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমির ঘোষ বলেন, ‘ভারত থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাঁচ দিন পর থেকে এই স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত ৬ দিনে ৯৯৭ দশমিক ৪০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পেঁয়াজের বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে রকমভেদে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দামে কোনো প্রভাব পড়বে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাজারে এখন পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। যদি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকে তাহলে সামনে কোরবারিন ঈদের বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না।